যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি আরবে সমকক্ষ রাষ্ট্রনেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নন। বরং বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ জো বাইডেনের সমকক্ষ রাষ্ট্রনেতা।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই পরিষ্কার করতে চাচ্ছি, সৌদি আরবের সাথে আমাদের সম্পর্ককে পুনর্বিন্যাস করতে যাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জেন সাকি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের সমকক্ষীয় নেতা বাদশাহ সালমান।’
উভয় নেতাই ‘উপযুক্ত সময়ে’ বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠক করবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে জেন সাকি বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় সমকক্ষীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনায় নিয়ে আসা হবে।’
ডি ফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে সৌদি আরবের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও হোয়াইট হাউজের সাম্প্রতিক এই অবস্থান সম্পর্কের নতুন বিন্যাসের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে বাইডেন প্রশাসন মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক ও মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের নিবন্ধক জামাল খাশগজির হত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের অনুধাবনে এক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জামাল খাশগজিকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। শুরুতে সৌদি কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর বিষয়ে দায়িত্ব অস্বীকার করলেও শেষে তারা খাশগজিকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনার অভিযানে দায়িত্বহীনতার অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় নেয়।
সিআইএ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী। তথাপি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে রক্ষা করে আসছিলেন।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক