বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পেয়েছেন সাড়ে ৮ কোটিরও বেশি মানুষ। যদিও এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৪ জন দাঁড়িয়েছে। এতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮৪৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮ কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৯ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ৫ লাখ ২ হাজার ৫৪৪ জন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ পর্যন্ত সেখানে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার ২৭৬ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ১৭৮ জনের আর সুস্থ হয়েছেন ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৫০ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৬ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৬ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ১২ হাজার ১৫১ জন। মারা গেছেন ৮১ হাজার ৪৪৬ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৩৬ লাখ ৪২ হাজার ৫৮২ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৩ জন আর সুস্থ হয়েছেন ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০৩ জন।
এদিকে, আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে আছে। এছাড়া, বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।