প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের ক্ষমতায় এখন বিজেপি সরকার। এরপর শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল দুই পড়শি দেশেও সরকার গড়তে চায় তারা। সেদেশেও ছড়িয়ে পড়বে তাদের পার্টি। যদিও পুরো পরিকল্পনাটিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মস্তিক প্রসূত।
গত কয়েকদিন আগে এমন মন্তব্য করেই শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এবার তার সেই মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের দুই পড়শি দেশ। শ্রীলঙ্কা যেমন সাফ জানিয়েছে, তাদের দেশের সংবিধানে এমন কোনো আইন নেই। অন্য দিকে এই মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নেপালও। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এর যথাযথ ব্যাখ্যাও চেয়েছে কাঠমান্ডু।
বিপ্লব দেবের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান নিমল পুঞ্চিহেওয়া জানান, কোনো পরিস্থিতিতেই বিদেশি কোনো দেশের রাজনৈতিক দল এদেশে তৈরি করা যাবে না। তার ভাষায়, শ্রীলঙ্কার যে কোনো রাজনৈতিক দল বিদেশি কোনো পার্টি বা দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই পারে। কিন্তু নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, বিদেশি দলগুলো এখানে এসে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।
এ দিকে নেপালও এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত নিলাম্বর আচার্য ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আধিকারিক অরিন্দম বাগচীকে ফোন করেছেন। এমনকি নেপালি রাষ্ট্রদূত তার কাছে বিপ্লব দেবের এই মন্তব্যের ব্যাখ্যাও চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় দলের একটি সাংগঠনিক কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সেখানে তিনি বলেন, শুধু নিজেদের দেশে নয়। পড়শি রাষ্ট্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় সরকার গঠন করার নকশা তৈরি করেছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির চাণক্যর সাংগঠনিক ক্ষমতার প্রশংসা করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্টেট গেস্ট হাউসে ২০১৮ সালে আমরা আলোচনা করছিলাম। সেই সময় বিজেপির উত্তর-পূর্ব জোনের পর্যবেক্ষক অজয় জামওয়াল বলেছিলেন, অমিত শাহ বলেছেন দেশের সব রাজ্যে বিজেপি প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে। এবার নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় দলের বিস্তার ঘটাতে হবে। সেখানে নির্বাচন জিতে সরকার গড়তে হবে।