নিজেদের মাঠে লজ্জার হারের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে পিএসজির কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে লিওনেল মেসির দল।কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে চার বছর আগে ক্যাম্প ন্যুতে হারের প্রতিশোধ নিল দ্যা প্যারিসিয়ানরা। এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাবার শঙ্কায় পড়লো বার্সেলোনা।
বার্সা-পিএসজি ম্যাচের সবচেয়ে বড় তারকা কে? দু’দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা নেইমারের কথা হয়তো মানুষ ভুলে যেতে চাইবে। চার বছর আগে এই ন্যু ক্যাম্পেই নেইমারের গোলে কি অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতেছিল বার্সেলোনা! আবারও ইউসিলে সেই শেষ ষোলোর মঞ্চ। প্রতিশোধের খেলায় একাই তিন গোল করে স্প্যানিশ তরী ডোবানোয় একক অধিপতি কিলিয়ান এমবাপ্পে যেন অতীত মনে করিয়ে দিতে চাইলেন।
নিজেদের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে এদিন অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দল বার্সেলোনা। তবে কিক অফের বাঁশি বাজার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে এমন আক্রমণ অন্য কিছুর আভাস দিচ্ছিল।
ম্যাচে প্রথম গোল দেয় বার্সেলোনাই। ডি বক্সে ফাউল করায় কপাল খোলে। স্পট কিক থেকে গোল করতে কোনো ভুল করলেন না দলের লাইফলাইন লিওনেল মেসি। আসরে তার গোল চারটি। চারটিই পেনাল্টি থেকে।
পিছিয়ে পড়ে অহমে ঘা লাগে দ্যা প্যারিসিয়ানদের। ৫ মিনিটের মধ্যে গোল শোধ কিলিয়ান এমবাপ্পের। কে জানত কাতালান দূর্গ এদিন চুরমার করবেন তিনি!
দ্বিতীয়ার্ধে চলে এগিয়ে যাবার লড়াই। নিজেদের মাঠে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে ডাচ কোচ রোনাল্ড ক্যোম্যান বার বার ছকে পরিবর্তন করতে চাইলেন তবে পচেত্তিনোর মাস্টার প্ল্যান আটকাতে পারলেন না। ৬৫ মিনিটে ম্যাচে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এই ম্যাচে নেইমার আর অ্যানহেল ডি মারিয়াকে ছাড়া মাঠে নেমেছে ফরাসি ক্লাবটা। বোঝার উপায় নেই। ৫ মিনিট বাদেই স্কোর লাইন ৩-১ করেন ময়েসে কিন। কাতালানরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে।
একই মঞ্চে বিপরীত মঞ্চায়ন। হারের বদলা হিসেবে চাই জয়। ৮৫ মিনিটে ড্রাক্সলারের পাস থেকে হ্যাটট্রিক পুরো করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এরকম এক হালি হজম করেই শেষ বার ফিরতি লেগে ৬-১ গোলে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল বার্সেলোনা! এবার নেইমারদের মাঠে গিয়ে সেই কাজটা না করতে পারলে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাবে বার্সেলোনা। সব উত্তর জানা যাবে ১০ মার্চ!