জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রবেশদ্বার। সঠিক নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা অসম্ভব। বর্তমান সময়ে সরকারদলীয় প্রার্থীরা নির্বাচনে অর্থ ও পেশি শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এমন বাস্তবতায় প্রশাসন সহায়তা করছে সরকারী দলের প্রার্থীদের। নির্বাচনে অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে বাঁধা দিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে নির্বাচনের ফলাফল একতরফা হয়ে যাচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের রাজনীতিতে শুণ্যতা সৃষ্টি হতে পারে যাতে অপশক্তির উত্থান হবার আশংকা রয়েছে। কখনো কখনো অপশক্তির উত্থান অধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষের সমর্থন পায়, যা কখনোই গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশা হতে পারে না। তাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সংশ্লিষ্টদের আরো কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু পদক-২০২১ বাস্তবায়ন পরিষদ-এর আহবায়ক ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ কথা বলেন।
এসময় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দেবে জাতীয় পার্টি। তাই দলকে আরো শক্তিশালী করতে পার্টির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাখন সরকার, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, দপ্তর-২ এম.এ. রাজ্জাক খান, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য নাজমুল খান।