কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিরা কাঠগরা ভাংচুর ও বিচারককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত করে কারাগারে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই আদালতে ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়িতে একদল মুখোশধারী গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পরের দিন নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, আসামি মমতাজ উদ্দিনের সাথে ছোট ভাই নিহত সুলতান আহমেদের বিরোধ ছিল। মমতাজ উদ্দিন সুলতান আহমেদকে হত্যার জন্য বাকি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পাঁচ লাখ টাকা ও একবিঘা জমি দেয়ার চুক্তিতে ভাড়া করে।
আদালতে ভাংচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, চার্জশীট দাখিলের দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করা হলো। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কাঠগড়া ভাংচুরের ঘটনার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণই প্রমাণ করে তারা কতটা দুর্ধর্ষ।