ইউরোপের দেশ ব্রিটেনেও নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনা। আগের দিনের ন্যায় আজ আরও কমেছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। পক্ষান্তরে বেড়েছে সুস্থতা। যা আজ ২১ লাখ ৯০ হাজার অতিক্রম করেছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গত একদিনে ৯ হাজার ৭৬৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ২৩০ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ১৭ হাজার ৩৯৬ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৯০ হাজার ৪০৬ জন রোগী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ও বেঁচে ফিরেছেন ২৯ হাজার ৮৯১ জন।
এদিকে, আশঙ্কাজনকহারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে। এমতাবস্থায় লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। স্থানীয় সময় গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ ঘোষণা দেন। এ সময়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে দেশটিতে ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেইন। চলছে টিকা প্রয়োগও। এতদিন কোন সুফল না মিললেও গত দুদিন থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনা।
করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন থেকে ঝুঁকি এড়াতে ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে সব ধরনের ভ্রমণ পথ বন্ধ করে যুক্তরাজ্য। যা গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর ছিল। নতুন করে এ সময়সীমা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের আলাদা এবং অজ্ঞাত এক ধরণ শনাক্ত হলে উদ্বেগ তৈরি হয় যুক্তরাজ্যে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পর্তুগালের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। বলা হয়েছে যে, এরপরও যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।