অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সশস্ত্র বাহিনীর কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হলে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী।
এছাড়া, অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং বিরুদ্ধাচরণ ছড়ানো হলে দীর্ঘ মেয়াদী কারাদণ্ড ও জরিমানার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। রাস্তায় সেনা টহল বাড়ানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে এসব কঠোর আইন চালু করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে প্রতিদিনই জোরালো হচ্ছে বিক্ষোভ। অং সান সু চিসহ নির্বাচিত নেতাদের মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেন তারা। বিক্ষোভের বাইরে জান্তা সরকারের বিষফোঁড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভ্যুত্থানকারীদের প্রতি জনগণের প্রকাশ্য অবাধ্যতা। সামরিক শাসনের অবসান এবং বেসামরিক রাজনীতিকদের মুক্তির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে হাজার হাজার সরকারি চাকরিজীবী। কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসক থেকে শুরু করে রেলওয়ে কর্মীরা সোমবার থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘটে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এরই মধ্যে আরো বেশি গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রাস্তায় বেড়েছে সেনা টহল। সামরিক জান্তা সরকার বেশ কিছু আইনি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন। এসব পরিবর্তনে বলা হয় যারা লিখিত বা প্রকাশ্যে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দেবে তাদেরই দীর্ঘ মেয়াদী কারাদণ্ড এবং জরিমানার ঘোষণা দেয়া হয়।
সোমবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, যারাই নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করবে তারাই সাত বছরের কারাদণ্ডের মুখে পড়তে পারে। আর যারা জনগণকে ভয় কিংবা বিক্ষোভে উস্কানি ছড়াবে তারা তিন বছরের কারাদণ্ডের মুখে পড়তে পারে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজপথে নেমে আসছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দমনে পুলিশও কঠোর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সেনা অভ্যুত্থানের দিনেই নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ উর্ধ্বতন নেতাদের গ্রেপ্তারের পর বহু বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হচ্ছে। তবে তাতেও দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ।