ফরাসি প্রেসিডেন্ট জাঁক শিরাক স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করে সংসদে আইন পাশ করেন। আইন ঠেকাতে প্যারিসে বিপুলসংখ্যক লোক বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে। এতে সামিল হন মুসলিম নারীরা হাতে ‘আমার পছন্দ’ লেখা ব্যানার নিয়ে ফ্রান্সের সরকার ২০০৪ সালে সব সরকারি স্কুলে হিজাব ও অন্যান্য ধর্মীয় পরিচয় বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে বহু মুসলিম মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বহু মুসলিম কিশোরীর শিক্ষাজীবনে নেমে আসে অন্ধকার। নানাভাবে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ ও প্রশ্নবাণে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে মুসলিম নারীদের দৈনন্দিন জীবন।
ফরাসী সংসদে এই পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল সেসময় ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী দল। তাদের যুক্তি ছিল স্কুলের ভেতর ধর্মকে আনা যাবে না।
সংসদ স্কুল ছাত্রীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেবার পর মুসলিম ছাত্রীরা বলেছিল, তাদের কাছে পড়ার বই আর হিজাব দুটিই তাদের পরিচয়ের অংশ। অনেক কিশোরী বলেছিল হিজাব তাদের শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাদের ব্যক্তিসত্ত্বার অংশ। স্কুলে ঢোকার পর তাকে সেটা খুলতে বাধ্য করা তার ব্যক্তিসত্ত্বার অপমান।
আফ্রিকার সেনেগ্যলে জন্ম এনডেলা পে কিশোরী বয়সে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন তার বাবার কর্মসূত্রে। বিবিসিকে তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার গুরুতর প্রভাব পড়েছিল ফ্রান্সের মুসলিম মেয়েদের ওপর।
‘এই নিষেধাজ্ঞা ছিল শুধু মুসলিম মেয়েদের লক্ষ্য করে। সরকারিভাবে সরকারকে বলতে হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা তারা সব ধর্মের প্রতীকের ক্ষেত্রেই আনছে। কিন্তু দেখুন, যারা স্কুল যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল তারা সবাই ছিল মুসলিম মেয়ে।’
এনডেলা পে-র বাবা ছিলেন ফরাসি দূতাবাসের কূটনীতিক।
এনডেলা যখন প্যারিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তখন তিনি হিজাব পরতে শুরু করেন। তিনি বলেন, সহপাঠী থেকে শুরু করে পথচারী নানা মানুষের তির্যক মন্তব্য তখন তার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল।
‘আফ্রিকান মেয়েরা যেভাবে মাথা ঢাকে, প্রথম দিকে আমি সেভাবে মাথা ঢাকতাম। ওরা আমাকে দেখে বোঝেনি যে আমি হিজাব পরছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোরকম সমস্যার মুখে পড়তে চাইনি। কিন্তু পরে যখন আমি আরবি মেয়েদের মতো করে হিজাব পরতে শুরু করি, তখন থেকে নানাধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।
‘কেন হিজাব পরছি- কেন নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছি না? এমন প্রশ্ন সবসময় শুনতে হতো। অনেকে এমনও বলতো যে- সৌদি আরবে চলে যাও। আরে- সৌদি তো আমার দেশ নয়, সেদেশের সাথে আমার কোনই যোগাযোগ নেই। একবার তো টিউব রেল স্টেশনে একজন আমার গায়ে থুতু ছুঁড়েছিল,’ বলেন এনডেলা।
ফ্রান্সে ধর্মনিরপেক্ষতা
ফ্রান্সে গির্জা ও রাষ্ট্রকে পৃথক রাখার যে আইন ফরাসি ভাষায় ‘লে-ল্যসিটে (laïcité)’ নামে পরিচিত, সেটি প্রজাতন্ত্রটির ধর্মনিরপেক্ষতার মূল স্তম্ভ।
দেশটির জাতীয় পরিচয়ের কেন্দ্রে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। যে নীতির মূল ভিত্তি হলো বিভিন্ন আচরণ ও ধর্মের স্বাধীনতা এবং বিশ্বাস যাই হোক না কেন আইনের সামনে সমতা।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিমের বাস ফ্রান্সে। ফলে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম নাগরিককে ফ্রান্স তার সমাজের অংশ করে নিতে কতটা সক্ষম সেটাই ছিল দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ নীতির জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
ফ্রান্সে ১৯৮০র দশকের শেষ দিক থেকে মুসলিম নারীদের হিজাব পরা দেশটিতে একটা বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল।
বিভিন্ন এলাকায় মুসলিম মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা উচিত কিনা এ নিয়ে তখন বড়ধরনের বিতর্ক দানা বাঁধছিল। হাতে গোণা কয়েকজন শিক্ষক শুরু করেছিলেন এই বিতর্ক।
ফ্রান্সের কাউন্সিল অফ স্টেট অর্থাৎ যে প্রশাসনিক পরিষদ আইনি বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টার কাজ করে, তাদের মত ছিল স্কুলে মেয়েদের হিজাব পরা ফ্রান্সের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী।
বিদ্বেষের প্রকাশ
ফ্রান্সে ১৯৯০এর শেষ নাগাদ মুসলিমদের প্রতি মনোভাবে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। মুসলিমদের পোশাক পরিচ্ছদ বা যা দিয়ে বাইরে থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে চিহ্ণিত করা যায়, তার প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ পেতে থাকে।
এনডেলা বলেন এই বিতর্কে ইন্ধন জোগান রাজনীতিকরা ও মিডিয়া।
‘বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনীতিকরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গিয়ে মানুষকে বলতে শুরু করেন যে ইসলাম গোটা দেশের জন্য একটা ঝুঁকি হয়ে উঠছে। মুসলিম নারীরা শিশুদের সমতুল্য। নিজেদের ব্যাপারে তারা নিজেরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাদের জীবনের যেকোনো সিদ্ধান্তের পেছনে থাকেন তাদের বাবা নয়তো ভাই।
‘আর মুসলিম পুরুষ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় যে তারা বহুগামী ও সহিংস। এটাই ছিল মুসলিমদের প্রতি মানুষের মনে একটা ভীতি তৈরির পথ। এক কথায় মুসলমানরা এবং ইসলাম ধর্ম দেশটির জন্য যে বিপদজনক মানুষের মনে সেই ধারণাটা গেঁথে দেয়া।’
ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে ফরাসি সরকারের একটি কমিশন ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্কুলে হিজাব পরা এবং অন্যান্য ধর্মীয় পরিচয় বহন করা, যেমন ইহুদিদের টুপি এবং খ্রিস্টানদের ক্রুশচিহ্ন পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সুপারিশ করে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট জাঁক শিরাক ও তার ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী দল ইউএমপি বা ইউনিয়ন ফর পপুলার মুভমেন্ট এই সুপারিশ সমর্থন করেন।
মুসলিম মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ
এনডেলা পে বলছিলেন তিনি তখন ৩০ বছরের এক মুসলিম মা- দুই কন্যাসন্তানের জননী।
‘আমি তাদের কথা ভাবছিলাম। মেয়েরা তখন বড় হচ্ছে, স্কুলে গেলে তারা হিজাব পরতে পারবে না! তাদের মনে কীধরনের প্রতিক্রিয়া হবে? আমি জানি না তারা বড় হয়ে কীভাবে জীবন গড়তে চাইবে? কিন্তু মা হিসাবে আমি চাইতাম তারা কী পরে স্কুলে যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার তাদের থাকুক।’
তিনি বলেন, হিজাব পরার কারণে কোনো মেয়ের স্কুলে যাবার অধিকার রাষ্ট্র কেড়ে নিতে পারে না। আর সেটাই ঘটতে যাচ্ছে বলে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন। অস্থির বোধ করতেন।
তিনি বলেন, তিনি বাচ্চাদের কখনো বলেননি যে তারা মুসলিম, অন্যদের থেকে আলাদা। লোকে তাদের কিছু বলতে পারে। সেজন্য মনকে প্রস্তুত রাখতে।
‘আমার মনে আছে – যখন আমরা বাজারে যাচ্ছি, আমার বড় মেয়ে একদিন বলল সে আমার মতো হিজাব পরবে। সে সবসময় আমাকে অনুকরণ করতে চাইত। শুনে ওর বাবা বলল, না না তোমাকে পরতে হবে না। আমার স্বামীর মনে হয়েছিল, মেয়েকে হিজাব পরালে লোকে বলবে, দেখ বাবা জোর করে মেয়েকে হিজাব পরিয়েছে। কিন্তু অতটুকু মেয়েকে তো সেটা বলা যায় না। সে তো- আমি যা করি, সরল মনে সেটাই করতে চাইছে। আর আমরা ভাবছি লোকে কী বলবে! খুব কঠিন।’
এই আইন মেয়েদের অবস্থা আরো নাজুক করে দিল, বলছেন এনডেলা পে। কারণ অনেক মা এ কারণে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল।
আন্দোলন ও প্রতিবাদ
এনডেলা তার মুসলিম বান্ধবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। এই নিষেধাজ্ঞা যাতে তুলে নেয়া হয় তার জন্য তদ্বির বা আন্দোলনের পথে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এই আইনের ওপর ভোটগ্রহণ ঠেকানোর জন্য করণীয় কী সে বিষয়ে বান্ধবীদের পরামর্শ চাইলেন।
‘আমার একজন বান্ধবী বললেন, এই আইন বন্ধ করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে ওই রাতেই একটা বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। আমি চাইলে তাতে যোগ দিতে পারি। ওই বৈঠকেই এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আমরা একটা জোট গড়ে তুললাম। গোষ্ঠীর নাম আমরা দিলাম সি-ই-পি-টি – যার অর্থ সবার জন্য স্কুল।’
তাদের দলে ছিলেন শিক্ষিকা, নারীবাদী, এমনকি কিছু স্কুল ছাত্রীও, যারা হিজাব পরত। শুধু মুসলিমরাই নন, অনেক অমুসলিম শিক্ষিকা, সুপরিচিত অমুসলিম নারী আন্দোলনকারী প্রথম থেকেই আন্দোলনে যোগ দিলেন।
‘আমি বলব, জোটে মুসলিমদের থেকে অমুসলিমদের সংখ্যাই বেশি ছিল।’
এই জোট প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলো। বিক্ষোভ হল পৃথিবীর অনেক দেশে। অনেক মুসলিম এনডেলা ও জোটের সদস্যদের সাথে মিছিলে শরিক হলেন। তারা যুক্তি দিলেন- সমস্যাটা হিজাবের নয়, সমস্যা হলো, ফ্রান্স মেনে নিতে পারছে না যে তাদের দেশ এখন বহু ধর্ম, বর্ণ আর সংস্কৃতির দেশ হয়ে উঠছে।
আন্দোলনে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীরা অনেকে বললেন, তারা এই আইনের সাথে একমত নন, কেউ বললেন, তারা ক্ষুব্ধ কারণ এটা বিভেদের আইন। কেউ মত দিলেন, এটা শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি নয়, এই আইন পুরো ফরাসি সমাজের জন্য বিপজ্জনক।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বললেন, এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে ফরাসি সমাজের অংশ করে নেবার বদলে তাদের দূরে ঠেলে দেবে, তারা নিজেদের একটা বলয় গড়ে তুলবে এবং তৈরি হবে আরো বেশি বিভেদ।
আইন পাশ
ফ্রান্সে বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ সত্ত্বেও ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফরাসি এমপিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে এই আইন পাশ হয়ে যায়। ফ্রান্সের সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষকশিক্ষিকারা এই আইন ব্যাপকভাবে সমর্থন করেন। মার্চ মাসে এই আইন সিনেটে অনুমোদন পায়, এবং আইন কার্যকর হয় সেপ্টেম্বর মাসে, স্কুলের শিক্ষাবর্ষ শুরুর সময়ে।
যেদিন সংসদে এই আইন আনা হয়, তখনও এনডেলা ও তার সহযোগী প্রতিবাদকারীরা সংসদ ভবনের বাইরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন।
স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ হবার ফলে মানুষের ধারণা হয় যে, আইনে দেশের সর্বত্র মুসলিম নারীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘আমরা কখনও কখনো বৈঠক করতাম কফির দোকানে বসে। আমাদের মধ্যে আমরা দুতিনজন হিজাব পরতাম। দোকানে ঢোকার আগে আমাদের দোকানদার বলত হিজাব খুলে ঢুকতে। তাদের বোঝাতে আমাদের যুদ্ধ করতে হতো যে এই আইন শুধু স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
‘সব জায়গায় আমাদের অভিজ্ঞতা ছিল একইরকম। কফির দোকানে বলুন, মেট্রো রেলে বলুন, হিজাব পরলে লোকে চেয়ে থাকত, কেউ কেউ বলত, নিজের দেশে ফিরে যাও। কেউ বলত-আইন বদলে গেছে -এখন হিজাব খুলে ফেল।’
এনডেলা বলছেন বিষয়টা খুবই অপমানজনক ছিল : ‘হিজাব পরলেই আশপাশের মানুষ আইন দেখাতে আসত। এই আইনের কারণে সবাই মুসলিম নারীদের হেনস্থা করত।’
অনেক স্কুল ছাত্রী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিজাব পরে স্কুলে গেলে তাদের সরকারি স্কুল ব্যবস্থা থেকে বের করে দেয়া হয়। অনেকে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হয়, অনেকে আবার বাসায় লেখাপড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অনেক মেয়ের শিক্ষাজীবন পুরো বিপর্যস্ত হয়ে যায়- বলছেন এনডেলা।
কালো অধ্যায়
‘আমার অনেক বান্ধবীকে দেখেছি তাদের মেয়েদের সরকারি স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে ধর্মীয় স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই টানাপোড়েন এসব কিশোরীর জন্য প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণ হয়েছে। অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে।’
স্কুল ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে এই জোটের আন্দোলন ব্যর্থ হলেও তাদের মায়েদের হিজাব পরা বহাল রাখার আন্দোলনে এই জোট সফল হয়েছিল। স্কুলের ট্রিপে কোনো মেয়ের সাথে তার মা যেতে চাইলে তারও হিজাব পরা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু এই জোটের দাবির মুখে ২০১৩ সালে ফ্রান্সের আইনি উপদেষ্টা পরিষদ বলে যে ছাত্রীর মায়েরা যা চান তাই পরতে পারবেন।
এনডেলা মনে করেন, ২০০৪ সালের ওই বিতর্কিত আইন ফরাসি সমাজের জন্য একটা কালো অধ্যায়।
‘এই আইন ফ্রান্সে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল ফরাসি সমাজে মুসলিমদের জায়গা নেই। আপনি মুসলিম- ফ্রান্সে একথা মাথা উঁচু করে বলার পথ এই আইন বন্ধ করে দিয়েছিল।’
এনডেলা পে এখন থাকেন লন্ডনে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ২০০৪-এর পর থেকে ফ্রান্সে মুসলিমদের পরিস্থিতি আরো অনেক খারাপ হয়েছে।
‘বর্তমানে পরিস্থিতি ভাল হবার কোনো লক্ষণ আমি দেখি না।’
সূত্র : বিবিসি