রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় একটি ভবনের ৫তলায় স্বামী, দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকেন ইয়াসমিন বেগম। একই বাসার ৬ তলায় ভাড়া থাকেন রুহুল কুদ্দুস বাবু ও তার আত্মীয় পরান নামে এক ব্যক্তি।
স্থানীয়রা জানান, পরান দীর্ঘদিন ধরে ইয়াসমিনকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই তিন বছর আগে পরানকে বাসা থেকে বের করে দেন বাবু। এরপরও পরান বিভিন্ন সময় ইয়াসমিন বেগমকে উত্ত্যক্ত করতেই থাকেন।
সন্ধ্যায় বাবুর বাসায় পরান আসলে ব্যাপারটি নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটি হয়। একপর্যায়ে পরান চাপাতি দিয়ে বাবুকে এলোপাড়াড়ি কোপায়। এসময় ইয়াসমিন ও তার মেয়ে মেহরিন ছুটে আসলে তাদেরও কুপিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পরান।
তিনজনকেই আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত পরান।
ঢামেক হাসপাতাল ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হামলার বিষয়টি শুনেছি। আহত সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।