আগের ম্যাচেই মতোই ব্যাট হাতে দারুণ খেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষ দিকে ঝড় তুললেন ফাহিম আশরাফ। তারপরও ডোয়াইন পিটোরিয়াস ও তাবরাইজ সামসির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে বড় সংগ্রহ গড়তে পারলো না পাকিস্তান।
তারপরও শাহিন শাহ আফ্রিদির কল্যাণে বল হাতে শুরুটা দারুণ হয়েছিল পাকদের। কিন্তু রিজা হেনরিক্স ও পিটে ভ্যান বিলজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে সব এলোমেলো হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ সহজেই ৬ উইকেটে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফিরল সফরকারীরা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে পাকিস্তান করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৪ রান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন রিজওয়ান। এদিকে ফাহিম আশরাফ ৩০ ও ইফতেখার আহমেদ করেন ২০ রান।
লক্ষ্য তাড়ার শুরুটা ভালো না হলেও রিজা হেনরিক্স (৪২) ও পিটে ভ্যান বিলজনের (৪২) ব্যাটে ২২ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ডেভিড মিলার ২৫ ও কালারসন ১৭ রানে।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শনিবার ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তৃতীয় উইকেটে রীতিমতো ঝড় তুলে হেনরিক্স ও বিলজন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন। শেষ পর্যন্ত তাদের ৫৪ বলে ৭৭ রানের জুটি ম্যাচের ১২তম ওভারে ভাঙেন উসমান কাদির।
তিনি দারুণ এক ডেলিভারিতে ইফতেখারের ক্যাচে ফিরিয়ে দেন হেনরিক্সকে। ফেরার আগে প্রোটিয়া এ ওপেনার ৩০ বলে সমান ৩ ছয় ৩ চারে করেন ৪২ রান। এর কিছুক্ষণ পরই বিলজনও ফেরেন ৩২ বলে ৪২ রান করে। তারপরও সফরকারীদের জয় পেতে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি ২টি ও উসমান কাদির এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ নেন ১টি করে উইকেট।
এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকট হারাতে থাকে পাকিস্তান। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত এ ডানহাতি ৩৮ বলে হাফসেঞ্চুরি তোলার পরই ফিরে যান সাজঘরে। যে কারণে অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ফাহিম আশরাফের শেষের ঝড়ে (১২ বলে ৩০) ১৪৪ রান করে পাকিস্তান। কিন্তু সেই রান পেরিয়ে যেতে প্রোটিয়াদের তেমন বেগ পেতে হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ডোয়াইন পিটোরিয়াস ১৭ রানে নেন ৫ উইকেট। এদিকে তাবরাইজ সামসি ১৬ রানে ১ উইকেট।