সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদারের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রন হক সিকদারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের নামে হুলিয়া ছিল। পুলিশ আমার কাছে জানতে চেয়েছিল। আমি তাদের বলেছি, তাদের নামে তো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাই পুলিশকে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
এর আগে একই দিন সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার গুলশান বিভাগের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
ডিবি থেকে জানানো হয়, এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই মামলার অপর আসামি রন হক সিকদারের ভাই দিপু হক সিকদার দেশে ফেরেননি।
গত বছরের ১৯ মে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প গোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাদের বাবা জয়নুল হক সিকদার মারা গেলে শুক্রবার সকালে ঢাকায় নামেন রন হক সিকদার। তখনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসনেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়। তাদের নির্যাতন করা হয়েছে, গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সিকদার গ্রুপ ব্যাংকটির কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব দিলে এর বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে যান ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। সে সময় এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীকালে ২৫ মে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যেই ব্যক্তিগত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশ ছাড়েন দুই ভাই।