২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির পারমাণবিক চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরানোর বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করছে কাতার। বুধবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা কাতার নিউজ অ্যাজেন্সি (কিউএনএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কিউএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি বলেছেন, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত করে পারমাণবিক চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করছে কাতার।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইরানবিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি রবার্ট ম্যালি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভানের সাথে পৃথক ফোনালাপ করেন আল-থানি। ফোনালাপের পর ইরানের সাথে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরানোর বিষয়ে কাতার কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর সাথে ইরানের ওই পারমাণবিক চুক্তিতে প্রত্যাবর্তনের উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
ইরান শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রেখেছে অভিযোগ এনে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে প্রত্যাহার করে নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
আল-থানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সাথে কাতারের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে উভয় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছে কাতার। এর আগে, কাতারের সাথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর তিন বছরের বেশি সময়ের দীর্ঘ কূটনৈতিক সঙ্কটের অবসান ঘটে গত মাসে। সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।
সূত্র : রয়টার্স