দারুণ ফর্মে আছেন পাকিস্তানের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে দেখা পেয়েছেন টি-২০তে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। নেপিয়ারে সেই ম্যাচে ১১ রানের জন্য হাতছাড়া করেছেন সেঞ্চুরি।
সর্বশেষ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন ম্যাচ উইনিং ১১৫ রানের ইনিংস। বৃহস্পতিবার লাহোরে টি-২০ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন উদযাপন।
তার ৬৪ বলে ৬ চার,৭ ছক্কায় শোভিত ১০৪ রানের হার না মানা ইনিংসটাই গড়ে দিয়েছে দু’দলের মধ্যে ব্যবধান। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৯/৬ স্কোর পুঁজি নিয়ে শেষ থ্রিলারে ৩ রানে জিতে টি-২০ সিরিজ শুরু করেছে পাকিস্তান।
ইনিংসের প্রথম বলে বাবর আজম রান আউটে কাঁটা পড়লে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ব্যাকফুটে ছিল পাকিস্তান (৪৫/২)। তবে শুরু থেকে একাই দায়িত্ব নিয়েছেন রিজওয়ান। ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ন করে পেয়েছেন ছন্দ। ৬৩ বলে টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন উদযাপন। রিজওয়ান ছিলেন বলেই শেষ ৩০ বলে ৪৭ রান যোগ করতে পেরেছে পাকিস্তান।
লাহোরে ১৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং পার্টনারশিপ। তবে উইকেটহীন ৫০ রানের পরও ম্যাচে ফিরতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা লেগ স্পিন লিজেন্ডারি আবদুল কাদেরের ছেলে ওসমান কাদের (২/২১) ইনিংসের মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাকফুটে নামিয়েছেন। মালান (২৯ বলে ৪৪) এবং হেনরিকস (৪২ বলে ৫৪) ফিরে গেলে শেষ ১২ বলে ২৯ রানের টার্গেট কঠিন হয়ে যায়। শেষ ৬ বলে ১৯ রানের টার্গেট পাড়ি দিতে এসে ঝুঁকি নিয়েছিল প্রিটোরিয়াস এবং ফরচুন। ফাহিম আশরাফকে ৩য় বলে প্রিটোরিয়াস ছক্কা এবং ৫ম বলে ফরচুন বাউন্ডারি মারলে শেষ বলে ছক্কার টার্গেট পাড়ি দিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ রানে জিতে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এগিয়ে গেল পাকিস্তান ১-০তে।
পাকিস্তান : ১৬৯/৬ (২০.০ ওভারে)
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৬৬/৬ (২০.০ ওভারে)
ফল : পাকিস্তান ৩ রানে জয়ী।