স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সুস্থ টিকা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত এবং ভীড় এড়াতে স্পট রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকছে না, শুধুমাত্র অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করলেই টিকা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় এড়াতে এবং সুষ্ঠুভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আজ থেকে ‘অনস্পট’ নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে আবারও প্রয়োজন হলে স্ব-শরীরে এসে নিবন্ধন করে টিকা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনলাইন নিবন্ধনের চেয়ে অনস্পট নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদিকে যারা অনলাইনে নিবন্ধন করে টিকা নিতে আসছে, তারা নানা রকম ভোগান্তিতে পড়ছে। অনস্পট নিবন্ধনের কারণে তাদেরকে এসে বসে থাকতে হচ্ছে। বয়স্করাও এসে কষ্ট পাচ্ছেন। তাই আজ থেকে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে না’।
টিকা নিতে এরইমধ্যে ১০ লাখের অধিক মানুষ নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে পৌনে তিন লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, আজকের মধ্যে চার লাখ টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দিনে দিনে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে, আগে টিকা নিয়ে সমালোচনা করেছে যারা তারাও এখন এসে টিকা নিচ্ছে বলে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অনস্পট রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশনার পর থেকে হাসপাতালগুলোতে স্পট রেজিস্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন নেয়ার হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বুথে দিনে ১,২০০ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা। কিন্তু বুধবার সেখানে ১,৮৩৪ জন মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর আগের দিন সেখানে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১,৪৯৭ জন।
ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন, অনস্পট রেজিস্ট্রেশনের ফলে কেন্দ্রগুলোতে মানুষের চাপ বাড়তে থাকায় টিকা প্রদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সারা দেশের ১০০৫টি কেন্দ্রে টিকাদান চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো ব্যতীত ২,৪০০টি দল প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নাগরিকদের টিকাপ্রদানের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের এ টিকাদান কর্মসূচী চলবে ৭ই মার্চ পর্যন্ত।
টিকা প্রদানের প্রথম পর্যায়ে দেশের ৩৫ লাখ লোককে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
৪০ বা তার বেশি বয়সীরা এবং ১৯টি পেশার সম্মুখসারির যোদ্ধারা সরকারের ওয়েব পোর্টাল www.surokkha.gov.bd এর মাধ্যমে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।