বুধবার দুপুরে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক, শরীফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, মনিরুজ্জামান মুন্না, বিল্লাল হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিটন, শামীম হোসেন গালিব, হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আনিসুর রহমান খোকন ও মিন্টু । সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফকর উদ্দিন আল রাজি, নাইম ও খায়ের পলাতক রয়েছেন।
এর আগে, রায় ঘোষণা ঘিরে আদালতে হাজির করা ১৭ আসামিকে। বার্ধক্য ও অসুস্থতাজনিত কারণে বাকি দুইজন জামিনে রয়েছেন।
২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট দেশব্যাপী একযোগে বোমা হামলার সময় সাতক্ষীরার ৫ স্থানেও বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এ ঘটনায় ২০০৬ সালে সব কটি মামলায় ১৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
২০০৭ সালে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদের দায়েরকৃত মামলায় আগের মামলার আসামিসহ আরো ৪ জনের নামে চার্জশীট দাখিল করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে নাসিরুদ্দিন দফাদার নামে একজন ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মস্তিস্কের রক্ষক্ষরণজনিত কারণে সাতক্ষীরা কারাগারে মারা যান। আসামিরা দেশের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থান করায় মামলার রায় হতে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর লেগে যায়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়। এই সূত্র ধরে ভারতীয় নাগরিক গিয়াসউদ্দিনসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) এ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানান তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়।
আসামিদের মধ্যে শায়খ রহমান, বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের এসব মামলার আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।