স্বাধীনতা দিবস ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় আসছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক বিষয় আলোচনা করে একমত হয়েছি। আমার সৌভাগ্যের বিষয় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ঢাকা আসবেন। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে একটি যৌথ কমিশন, জনশক্তি নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবো।
ড. মোমেন জানান, মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে নার্স নিবে। ইতোমধ্যে অনেক চিকিৎসক সেখানে কাজ শুরু করেছেন। আমাদের জন্য সুখবর হচ্ছে মালদ্বীপ তাদের দেশের সব শ্রমিক, প্রবাসীসহ বিনামু্ল্েয কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দিবে। এটা দেশটির প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য মালদ্বীপকে ধন্যবাদ।
কীভাবে ব্যবসা বাড়ানো যায়, জাহাজ চলাচল শুরু হলে যোগাযোগ বাড়বে। জলবায়ু ইস্যুর ওপরও আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুও রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ বলেন, আমাকে ও আমার প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এ কে আবদুল মোমেন, সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ধনব্যাদ জ্ঞাপন করছি। মহামারি করোনার সময় মালদ্বীপের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে আমরা দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করবো।
আবদুল্লাহ শহিদ বলেন, মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের মূল অধিকারগুলো রক্ষা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যু সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে মালদ্বীপ। রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একমত। মালদ্বীপে কর্মরত অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগ আমাদের আলোচনাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিউ ইয়র্কে বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে হয়নি। আমরা আশা করছি। শিগগিরই সেই বৈঠক করে সম্পর্ক আরো উন্নয়ন করতে পারবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।