কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দুই মাস বয়সী শিশুপুত্র ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নজরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদান করে রায় দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম এ রায় প্রদান করেন। প্রদত্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দুই লাখ টাকা আর্থিক জরিমানার আদশে দিয়েছেন বিচারক। রায় প্রদানের সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি নজরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামির বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের পাপদা গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, একই গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রহিমা খাতুন (১৮) এর সরলতার সুযোগ নিয়ে নজরুল ইসলাম তার সাথে অবৈধভাবে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে রহিমা খাতুন গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি তার অভিভাবকদের নজরে আসে। এ নিয়ে সালিশ দরবারে নজরুল ইসলাম সম্পর্কের কথা স্বীকার করলে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। বিবাহের তিনদিন পর রহিমা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রহিমা খাতুন নিখোঁজ হয় এবং সাতদিন পর জাঙ্গিয়াদী এলাকার বিলভরা বিলের পানিতে সন্তানসহ রহিমা খাতুনের লাশ ভেসে উঠে।
এরপর ২২ জানুয়ারি রহিমা খাতুনের বড় ভাই আব্দুল আওয়াল বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ তার পরিবারের চারজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হয় এবং পরে আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার এসআই শাহাব উদ্দিন ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নজরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে দুইজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।