শত গুজবের অবসান ঘটিয়ে দেশব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশজুড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো টিকাদান চলছে।
এরই মধ্যে প্রথম দিনে করোনার টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টা থেকে একযোগে সারাদেশে এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসাবে রবিবার বাংলাদেশের সহস্রাধিক হাসপাতালে টিকা দেওয়া শুরু হয়। জনগণ যাতে টিকার ওপর আস্থা রাখতে পারে সেজন্য প্রথম দিন মন্ত্রিসভার সদস্য-সহ রাষ্ট্রের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি টিকা গ্রহণ করেন। এছাড়া ডাক্তার-নার্সসহ সম্মুখসারির কর্মী এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের এই টিকা দেওয়া হয়।
রবিবার টিকা দেওয়া সবাই সুস্থ আছেন। পাশাপাশি টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
দ্বিতীয় দিন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আগের দিনের তুলনায় মানুষের মধ্য টিকা নেওয়ায় বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। টিকা নিতে সারিবদ্ধ হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন সবাই। অনেককে টিকা নেওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
মহামারির প্রায় এক বছর পার করার পর গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ওইদিন মোট ২৬ জনকে টিকা দিয়ে হয়েছিল। পরদিন পাঁচ শতাধিক ফ্রন্টলাইনারকে এই টিকা দেওয়া হয়। দুই দিনে যে ৫৬৭ জন টিকা নিয়েছিলেন তাদের কারও মধ্যে গুরুতর কোনো উপসর্গ দেখা না দেওয়ায় গতকাল থেকে দেশব্যাপী শুরু করা হয় টিকা কার্যক্রম, যার দ্বিতীয় দিন আজ।
দেশব্যাপী চলা টিকাদান কর্মসূচিতে কাজ করছে মোট দুই হাজার ৪০০টি দল। ঢাকার জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির স্টোর থেকে টিকার ডোজ কোল্ড বক্সে সংরক্ষণ করে ৬৪টি জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র এবং প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেওয়া হয়। তার আগে টিকা সংরক্ষণ, টিকা দেওয়া, টিকা কেন্দ্র পরিচালনা, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ সব বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।