বান্দরবানের নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুইজন রোহিঙ্গা ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছেন।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবনিয়া চাকমাপাড়া সীমান্তে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বিজিবির দাবি, এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা, ২টি একনলা বন্দুক, ৪টি তাজা কার্তুজ ও ২টি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/২ ব্লকের ফোরকান মাহমুদের ছেলে মো. জোবায়ের (২৮) ও একই এলাকার লম্বাশিয়া ২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/৩ ব্লকের হামজা মিয়ার ছেলে দীল মোহাম্মদ (২৫)।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কিছু মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে রেজুপাড়া বিওপি’র দুইটি টহল দল সীমান্তের ৪০নং পিলার থেকে আনুমানিক ৩ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমঘুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গর্জনবুনিয়া চাকমাপাড়া ব্রিজের পূর্ব পার্শ্বে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান নেয়।
পরে ভোররাতের দিকে ৫/৬ জনের একটি দল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে।
এ সময় টহল দল পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ সময় ১ লাখ পিস ইয়াবা ও দেশীয় তৈরি ২টি একনলা বন্দুক, ৪টি তাজা কার্তুজ ও ২টি খোসা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আহত ব্যক্তিদের জীবন রক্ষার্থে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।