spot_img

ইউরোপে লকডাউনের কারণে দুবাইতে পর্যটকের ঢল

অবশ্যই পরুন

দুবাইয়ের ব্যস্ততার দিকে তাকালে মনে হবে করোনা মহামারি কোনো প্রভাব ফেলেনি সেখানে। কারণ, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহরটিতে পর্যটকদের রীতিমতো ঢল নেমেছে।

সিএনএন জানায়, ইউরোপে দেশে দেশে তীব্র ঠান্ডা এবং কঠোর লকডাউন থেকে রেহাই পেতে মানুষ ছুটি কাটাতে চলে আসছে দুবাইতে।

গত বছরের শেষ থেকে লাখো পর্যটকের চাপ পড়ে শহরটিতে। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সেটি ব্যর্থ হয়। ফলে নভেম্বর থেকে শনাক্ত বেড়েছে চারগুণ।

আমিরাতের শহরটিতে করোনার সংক্রমণ আগ্রাসী রূপ নিলেও ইনস্টাগ্রামে সেলিব্রিটিদের ছবিতে সেটি দেখাচ্ছিল শীতকালীন সূর্যের আলোর এক স্বর্গভূমি।

পর্যটকেরা দেশে ফিরে সমালোচনারও শিকার হন। যেমন, যুক্তরাজ্যে যেখানে অধিকাংশ মানুষ লকডাউনে বন্দী, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে ঘর থেকে বের হতে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে তারা বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না।

তবে দুবাইতে পর্যটকদের এ ঢলে অবাক নন ড্যানিশ নাগরিক ইমা ম্যাথিলডে। গত কয়েকমাসে কয়েকবার তিনি মধ্যপ্রাচ্যের শহরটিতে ঘুরতে যান।

তিনি বলেন, ‘ইউরোপে সবাই এখন ঘরে বন্দী। সেখানে ঠান্ডা এবং সবকিছু ধূসর। দুবাই হচ্ছে একমাত্র জায়গা যেখানে আপনি এখন ঘুরতে যেতে পারেন, সবাই সেটাই করছে। এটা রৌদ্রোজ্জ্বল, আপনি বাইরে খেতে যেতে পারছেন। ফলে অনেক মানুষ পর্যটকদের ওপর ক্ষুব্ধ, কারণ তাদের ঘরে থাকতে হচ্ছে আর অন্যরা জীবন উপভোগ করছে।’

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওঠে গেলে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত ফ্লাইট রুট হয়ে উঠে এটি। ফলে ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দুবাই। করোনা সংক্রমণ রোধে তাদের নতুন করে চিন্তা করতে হয়।

তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অর্থনীতি চালু রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমিরাত। পর্যটকের চাপ নিয়ে কর্মকর্তারা চিন্তিত নন। বরং করোনা রোধে সাবধানতা মেনে চলার বিষয়টি তাদের প্রত্যাশা মতো হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করার ঘোষণা ইরানের

কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি ইরান। আন্তর্জাতিক আণবিক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ