উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার হরণ এবং তিব্বত ও হংকং ইস্যুতে নেওয়া চীনা পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেইজিংকে দক্ষিণ এশীয় স্থিতিশীলতার পক্ষে হুমকি আখ্যা দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হুঁশিয়ার করেছেন, অবিলম্বে তাদের জবাবদিহির মধ্যে আনা হবে।
শুক্রবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের পরিচালক ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে কথা বলেছেন ব্লিঙ্কেন। পরে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলেছি যে আমাদের জাতীয় স্বার্থ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা অপব্যবহারের অভিযোগে চীনকে জবাবদিহির আওতায় আনার পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র’
জিয়েচি-ব্লিঙ্কেন আলোচনার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, শিনজিয়াং, তিব্বত, হংকং ইস্যুসহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং মানবাধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন পরিষ্কার করে বলেছেন।
এ ছাড়া মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে নিন্দা জানিয়েছে, তাতে যুক্ত হওয়ার জন্যও চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়। কিন্তু ট্রাম্প যেসব নীতি গ্রহণ করেছেন, সেই নীতিই ধরে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। এরপরই তিনি চীনের উদ্দেশে এমন কড়া বার্তা দিলেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্টের ক্ষেত্রে চীন যে হুমকি সৃষ্টি করেছে, তার জন্য দেশটিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।