রোহিঙ্গা সমস্যায় তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা তুরান।
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলেও মনে করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে তুরস্ক সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে,’ তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এমন আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান সহকারী প্রেস সচিব।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পরপরই তুরস্কের ফার্স্ট লেডির কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো পরিদর্শন করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর বিনিময়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে এই সম্পর্ক আগামীতে আরও জোরদার হবে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত সেদেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা জানালে প্রধানমন্ত্রী তাতেও সন্তোষ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বৈরুতে বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামতে সহযোগিতার জন্যও তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূততে সম্ভাব্য সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তার সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করেন। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকেও শুভেচ্ছা জানান।
এই প্রথম রাষ্ট্রদূত হয়ে মুস্তাফা তুরান বাংলাদেশে দায়িত্ব পেয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের তার দেশের আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, তুরস্কের বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা এবং ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তুরস্কের একটি সংস্থা বাংলাদেশের এলপিজি খাতে একশ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের প্রতিষ্ঠান বিডা এবং তুরস্কের বেইক এর মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ওয়েবিনার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করায় রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।