সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আক্তার সরদারকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৭ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৫নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামছুন নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ওই ঘটনায় করা মামলায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
মামলায় বাদী পক্ষকে সহযোগিতা করে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)।
ওসিসির আইন কর্মকর্তা ফাহমিদা আক্তার রিংকি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ন্যায়বিচার পেয়েছি। সমাজে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা যেন না ঘটে, এই রায় সেই দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।
রায় ঘোষণার পর আসামি আক্তার বলেন, আমাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার স্ত্রী তার দুলাভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে। আমার কাছে ৫ লাখ টাকা ও ৫ কাঠা জমি নেয়ার জন্য আমার স্ত্রী মেয়েকে দিয়ে ফাঁসিয়েছে। আমি হলফ করে বলছি আমার মেয়েকে আমি ধর্ষণ করিনি। এ মিথ্যা মামলার বিচার আল্লাহ করবে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল শিশুটির মা পাশের বাসায় শবে বরাতের নামাজ পড়তে গেলে বাবা আক্তার সরদার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার ১৮দিন পর ওই বছরের ৫ মে শিশুর মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওইদিনই পুলিশ আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আক্তার মেয়েকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
এরপর ওই বছরের ১৪ নভেম্বর আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সবাই সাক্ষ্য দেন।