রাজধানীর পূর্বাচলে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন কর্তৃক নির্মিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার জন্য নির্ধারিত স্থান ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক্সিবিশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিকভাবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী ও চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
চীনের আর্থিক অনুদান ও কারিগরী সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মালিকানায় পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের মাধ্যমে ২০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারটি।
বাণিজ্যমেলার নতুন এই ভেন্যুর নাম ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার’ করার বিষয় কর্তৃপক্ষের বিবেচনাধীন আছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে চীনাপক্ষ ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিকমানের একটি কমন প্লাটফর্মে নিয়মিত ও সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।
এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে চীনা অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের ২৩১ কোটি টাকা এবং ইপিবি নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে। এক্সিবিশন সেন্টারের অভ্যন্তরে তৈরি করা ফ্লোরের আয়তন ৩৩ হাজার বর্গ মিটার, বিল্ডিংয়ের ফ্লোরের আয়তন ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গ মিটার, এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গ মিটার। এক্সিবিশন হলে ৮০০টি বুথ রয়েছে, প্রতিটি বুথের আয়তন ৯ দশমিক ৬৭ বর্গ মিটার।
দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস ৭ হাজার ৯১২ বর্গ মিটার যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে, আর এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খালি জায়গায় আরও ১ হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।
এছাড়াও রয়েছে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসন বিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম, ৬টি মিটিং রুম, ৫০০ আসন বিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের খেলার স্পেস, নামাজের কক্ষ, অফিস রুম দুইটি, মেডিকেল রুম, ডরমিটরী-গেষ্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট ইন পাবলিক এড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেটসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা।