স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘ওমেন ইকোনোমিক ফোরাম’ (ডব্লিউইএফ) থেকে ডব্লিউআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ড ২০২১ ফর উইমেন অব দ্য ডিকেড ইন পাবলিক লাইফ অ্যান্ড লিডারশিপ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল অব দ্য উইমেন্স ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত ‘এশিয়ান উইমেন এন্টারপ্রেনর্স সামিট ২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকারকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। নারী উন্নয়নে দীর্ঘদিন কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ডব্লিউআইসিসিআই’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. হারবিন আরোরা স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে স্পিকারকে এ পুরস্কারে ভূষিত করার বিষয়ে অবহিত করা হয়। স্পিকারের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মাই আল-কাইলা আজ একই পুরস্কারে ভূষিত হন।
আজ এবং আগামীকাল ৬-৭ ফেব্রুয়ারি দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সামিটের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পিকার ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
উইমেন্স ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডব্লিউআইসিসি) ১২০টি দেশের প্রায় আড়াই লাখ নারী সদস্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পোদ্যোক্তা ও নারী নেতৃত্ব গঠন তথা নারীর ক্ষমতায়নে মানব হিতৈষী মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ডব্লিউআইসিসি পুরস্কারটি নারীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ওমেন ইকোনোমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, নোবেল বিজয়ী, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মাঝে এ সম্মানজনক পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিগত বছরগুলোতে মাল্টার প্রেসিডেন্ট মারি লুইস কোলেইরো প্রেসা, কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট লরা সিনসিলা মিরান্ডা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড, চিলির প্রেসিডেন্ট ড. মিসেল ব্যাচেলেট, কিরগিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট রোযা ইসাকোভনা ওতুনবায়েভা, যুক্তরাজ্যের চেরি ব্লেয়ার, নোবেল বিজয়ী তিউনিসিয়ার ওয়েদেদ বৌসামেউই, নোবেল বিজয়ী গুয়েতেমালার রিগোবার্তা মেন্সুকে সম্মানজনক এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
নারীদের জন্য সহায়ক একটি বিজনেস চেম্বার হিসেবে তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং তাদের ব্যবসায়িক পরিধির প্রসারের জন্য ডব্লিউআইসিসি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে।