দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ১৭১ রানসহ উইন্ডিজের সামনে লিড দাঁড়িয়েছে ৩৯৪। মুমিনুলের দুর্দান্ত শতক ও লিটন দাসের অর্ধশতকে ভর করে বড় লিড দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
এই মাঠে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের। সেখানে একদিনের বেশি সময়ে এই রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য দুঃস্বপ্ন হওয়ারই কথা।
বাংলাদেশ লিড বড় করতে পেরেছে মুমিনুল-লিটনের দারুণ এক জুটিতে। এদিন এই টেস্টের প্রথম শতরানের জুটি গড়েন তারা। তার আগে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি হাঁকান অধিনায়ক মুমিনুল।
চার মেরে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতকে পৌঁছানো লিটন সাজঘরে ফেরেন ৬৯ রানে। ১১২ বলে পাঁচটি চারে এই রান করেন তিনি।
শতকের পর মেরে খেলতে থাকা মুমিনুল ১১৫ রানে থামেন। ১৮২ বলের ইনিংসে ১০টি চারের মার ছিল তার।
বাংলাদেশের হয়ে এই প্রথম সেঞ্চুরি সংখ্যায় দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন কোনো ব্যাটসম্যান। ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে এত দিন যৌথভাবে শীর্ষে থাকা তামিম ইকবালের অবস্থান তালিকায় এখন দুইয়ে।
এই মাঠে প্রথম ৬ বার ফিফটি ছুঁয়ে প্রতিটিকেই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছিলেন মুমিনুল।
দলের লিড বড় করতে মুমিনুল এদিন কৌশলী স্ট্যান্সের আশ্রয় নেন। বাঁহাতি স্পিনারকে খেলার সময় লেগস্ট্যাম্প দেখা যাচ্ছিল। আবার ডানহাতিকে খেলার সময় লেগ-মিডলে পজিশন।
স্ট্যান্সের এই পরিবর্তন আনার পর শনিবার মুমিনুলকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য মনে হয়েছে।
মুমিনুল এমনিতে ফোর্থ স্ট্যাম্পে (অফস্টাম্পের বাইরে) কিছুটা ‘দুর্বল’। বেরিয়ে যাওয়া বলে হুটহাট ব্যাট চালিয়ে দেন। অথচ বডি থাকে দূরে। বদলে যাওয়া সারফেইসে বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষে, বিশেষ করে ওয়ারিকেনকে খেলতে তাই মুমিনুল খানিকটা সামনে স্ট্যান্স নিয়ে ব্যাট করেন।
চতুর্থদিন সকালের কন্ডিশনে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিক বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১৮ রান করে তিনি যখন ফেরেন, তখন লিড ছিল ২৪৪।
মুশফিককে ফেরান রাকিম কর্নওয়াল। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাবেক অধিনায়ককে।
এর আগে তৃতীয় দিন ১৭১ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তামিম ইকবাল। মাত্র চারটি বল খেলতে পারেন তিনি। তাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাকিম কর্নওয়াল। রাকিমের ওই ওভারেই পথ ধরেন শান্ত। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই ক্যাচ দেন ব্ল্যাকউডের হাতে। পরে ১৫তম ওভারে সাদমান ইসলামকে ফেরান গ্যাব্রিয়েল। ৪২ বল খেলে ৫ রান করতে পারেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করতে পারে ২৫৯। ২৩ বলের এক ঝড়ে তাদের গুটিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মিরাজ প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকানোর পাশাপাশি বল হাতে ৪ উইকেট শিকার করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রান করেছেন তিনি।