মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করতে চাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার নেতারা। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এমন তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সামরিক অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ দলটির অধিকাংশ আইনপ্রণেতা আটক হন। এরপর দেশটিতে আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাবাহিনী।
নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর। ওই নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ব্যাপক ব্যবধানে বিজয় হয়েছে।
সফররত মালয়েশিয় প্রেসিডেন্ট মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে বৈঠকের পর জোকো উইদোদো বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আসিয়ানের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে মিয়ানমারের বিষয়ে একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) প্রধানের দায়িত্ব পালন করছে ব্রুনেই। এ রকম বৈঠক বিরল এবং আয়োজনে চ্যালেঞ্জও রয়েছে— সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে হস্তক্ষেপ না করাই যেখানে আসিয়ানের নীতি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে আসিয়ান বলছে, তারা সদস্য দেশ মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
জোকো উইদোদো বলেন, এই অভ্যুত্থান দেশটিতে (মিয়ানমার) গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পথে এক পা পিছিয়ে যাওয়া।
অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময়ের সামরিক শাসনের পর ২০১১ সাল থেকে গণতন্ত্রের পথে ফেরা শুরু করেছিল মিয়ানমার। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে অং সান সু চির দল এনএলডি।
সাংবিধানিকভাবে প্রভাবশালী দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই এতদিন দেশ পরিচালনা করছিল সু চির দল।