১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে আরও ৪৭ রান তুলতে শেষ বিকেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে দেখা গেছে।
চতুর্থ দিন অর্থাৎ শনিবার ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে শুরু করবে স্বাগতিকেরা। উইকেটে মুশফিকুর রহিমের (১০) সঙ্গে মুমিনুল হক (৩১)।
এর আগে সফরকারীদের ২৩ বলের এক ঝড়ে ২৫৯ গুটিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। মিরাজ প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকানোর পাশাপাশি বল হাতে ৪ উইকেট শিকার করেন।
চট্টগ্রামে শুক্রবার বিকেলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তামিম ইকবাল। মাত্র চারটি বল খেলতে পারেন তিনি। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাকিম কর্নওয়াল। রাকিমের ওই ওভারেই পথ ধরেন শান্ত। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই ক্যাচ দেন ব্ল্যাকউডের হাতে। পরে ১৫তম ওভারে সাদমান ইসলামকে ফেরান গ্যাব্রিয়েল। ৪২ বল খেলে ৫ রান করতে পারেন তিনি।
বদলে যাওয়া সারফেইসের উইকেটে বাকিটা সময় মুমিনুল-মুশফিক কোনোমতে টিকে থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধসকাহিনী: সকালে তিন উইকেট হারিয়েও কয়েক ঘণ্টা চোখে চোখ রেখে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘বালির বাঁধের’ মতো ধসে চা-বিরতির পরপর। তাদের শেষ ৫ উইকেট পড়ে মাত্র ২৩ বলের ব্যবধানে। এই সময়ে তারা ৬টি রান করতে সক্ষম হয়।
টি-ব্রেকের ঠিক আগের দুই ওভার থেকে ঘটনার শুরু। দুই সেট ব্যাটসম্যান ডি সিলভা এবং ব্ল্যাকউড ৯৯ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নেন।
৪২ রান করা ডি সিলভা নাঈমের আয়েশি এক বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন। শেষ হয় তার ১৪১ বলের প্রতিরোধ।
ঠিক পরের ওভারে মিরাজকে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে ওই উইকেটরক্ষকের হাতে আটকে যান ৬৮ রান করা ব্ল্যাকউড। তিনি খেলেছেন ১৪৬ বল।
বিরতি থেকে ফিরে ঠিক পরের ওভারে আবার উইকেট পান মিরাজ। কেমার রোচ মিড উইকেট দিয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার মোহাম্মদ মিথুনের হাতে।
এক ওভার বাদে আবার দৃশ্যপটে মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই অলরাউন্ডার এবার বোল্ড করেন রাকিমকে। এটি তার চতুর্থ উইকেট।
শেষ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৭ বল খেলে ৪ রান করা ওয়ারিকেনকে বোল্ড করেন তিনি। এটি তার দ্বিতীয় উইকেট।
এর আগের তিন উইকেটও পড়েছে অল্প সময়ের ব্যবধানে। এনক্রুমাহ বোনারকে (১৭) ফেরান তাইজুল ইসলাম। সামনের পায়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে ঘূর্ণিতে বোকা বনে যান। বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে। ধরে ফেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
পরের আঘাত নাঈমের। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট তার প্রথম ভুলেই বিদায় নেন। দারুণ ব্যাট করতে থাকা এই তারকা বোল্ড হন ৭৬ রানের মাথায়।
এরপর ৪০ রান করা কাইল মায়ার্সকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।