বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিরোধীদলের ভূমিকায় তীব্র সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। সরকারী দলের আনা সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বিল উপস্থাপণে বাধা দেয়ায় বিরোধীদের সমালোচনা করেন। এই বিলে সিনেট নির্বাচনে খোলা ব্যালটের কথা বলা হয়েছে।
বিরোধী দলের প্রকিবাদের মধ্যেই বুধবার সরকার সংসদের জাতীয় সংসদের নিম্মকক্ষে বিলটি উপস্থাপন করে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ আবারও তীব্র আকার ধারণ করে। বিরোধী দল স্লোগান ও চিৎকার করে ও পরে ওয়াআউটের মাধ্যমে তারা নিম্নকক্ষের সভা বাধাগ্রস্থ করে। কয়েকজন বিরোধী সংসদ সদস্য এ দিন ‘চোর’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। তাদের অনেকেই বক্তব্য দেয়ার অনুমতি চেয়ে স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানান। এটি এমন সময়ে উপস্থাপন করা হয়েছে যখন সিনেট নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে এবং সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচনের সময় ভোটের বাণিজ্য রোধে খোলা ভোট চেয়ে প্রেসিডেন্টের আনা প্রস্তাব নিয়ে দেশটির সুপ্রীম কোর্টে শুনানী চলছে।
কুরেশি তার বক্তৃতাকালে বিরোধী দলের সদস্যদের দ্বারা উচ্চস্বরে স্লোগান দেয়া ও ডেস্কে থাপ্পড় মেরে শব্দ করার মাধ্যমে ‘সংসদের পবিত্রতা নষ্ট করার’ জন্য বিরোধীদের সমালোচনা করেন। তিনি বিরোধীদের আচরণে নিন্দা ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যে, সরকার ‘অনেক ধৈর্য ও শ্রদ্ধা’ দেখিয়েছে তবে ‘আপনি যদি ভাবেন যে আমরা আপনাদের জন্য এটি (বিল) বাতিল করব, তাহলে ভুল ভাবছেন।’
তিনি বিরোধী সদস্যদের ‘দ্বি-মুখী’ ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, যদি তারা সরকারের কথা শুনতে না চান ও এ ধরণের আচরণ অব্যাহত রাখেন, তাহলে ‘সংসদ তার কাজ করতে পারবে না’। তিনি বলেন, ‘তারা যদি শুনতে না চায় তবে একতরফা বিতর্ক হতে পারে না।’
বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন’ এবং সরকার ‘স্বচ্ছ সংস্কারের সাথে এগিয়ে যেতে’ চেয়েছে। এই কারণেই সরকার সংবিধানের ৫৯, ৬৩ এবং ২২৬ অনুচ্ছেদে সংশোধনীর জন্য বিল উত্থাপন করেছে। ‘দুর্নীতিবাজদের পরাস্ত করতে’ ও নির্বাচনে ‘ভোট বাণিজ্য’ বন্ধ করতেই এই বিল আনা হয়েছে এবং এর পেছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে তিনি জানান। সূত্র: ডন।