spot_img

সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দানা বাঁধছে মিয়ানমারে!

অবশ্যই পরুন

সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে মিয়ানমারে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে। দেশটির বড় শহরগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিকিৎসক, ফিজিশিয়ানসহ সেবাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেকেই তাদের চাকরি ছেড়েছেন। অনেক চিকিৎসক রোগীর কথা বিবেচনায় নিয়ে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা সামরিক জান্তা সরকারের নতুন মন্ত্রিসভাকে স্বীকৃতি দেবেন না বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা রেড রিবন মুভমেন্ট মিয়ানমার ২০২০ নামে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। -আল জাজিরা, বিবিসি বাংলা, রয়টার্স

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাড়ির হর্ন এবং রান্নার হাঁড়ি বাজিয়ে ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় প্রতিবাদ জানায় স্থানীয়রা। অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপগুলোও নাগরিক প্রতিরোধ কার্যক্রমের ডাক দিয়েছে। তারা ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করে তাদের প্রচেষ্টাকে সংঘবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সু চির মুক্তির দাবিতে ৭০টি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল বিভাগের কর্মীরা কাজ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারাও। তারা নিজেদের প্রোফাইল পিকচার বদলে লাল করেছে কিংবা তিন আঙুল দিয়ে স্যালুট দিয়েছে। এই কর্মসূচিটি মূলত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসা এবং সেবা পরিহার কর্মসূচি। এ ছাড়া বাসিন্দারা রাতে মোমবাতি জ্বালানো, রান্নার পাত্র এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে ধাতব বালতি বাজানোর মাধ্যমে শয়তানের আত্মা তাড়ানোর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক এমপিকে নেপিদোতে মিউনিসিপাল বা সরকারি অতিথি ভবনে আটকে রাখা হলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদেরকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। তবে সেনা অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে অনেক এনএলডির এমপিই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সরকারি অতিথি ভবন ছেড়ে যেতে এই এমপিদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে নোটিশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা নিন্দা প্রস্তাব আটকে দিয়েছে চীন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসে, কিন্তু চীন সমর্থন না করায় তারা কোনো যৌথ বিবৃতি দিতে পারেনি। যদিও জাতিসংঘের এই বিবৃতি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ফল বয়ে আনবে না, তার পরও এটা ‘আন্তর্জাতিক সুসংহত প্রতিক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে। যা আপাতত আসছে না বলে মনে হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি আইন লঙ্ঘনের দায়ে অং সান সু চির বিরুদ্ধে দেশটির রাজধানীর একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মিয়ানমারের পুলিশ। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে আটকে রাখার জন্য বলা হয়েছে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে। বুধবার রয়টার্সের প্রকাশিত এক নথির বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা। সেনাপ্রধান মিন অং লাইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে। অর্থ, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্রসহ ১১ জন মন্ত্রী ও ডেপুটির পদে রদবদল করা হয়। মঙ্গলবার তার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে মিন অং লাইং আবারও বলেন, ক্ষমতা নেওয়াটা ‘অনিবার্য’ হয়ে পড়েছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

নেতানিয়াহু-গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাকে ফিলিস্তিনিদের স্বাগত

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। এবার তা দ্রুত...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ