যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই এর ধীরগতি নিয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন সাধারণ মার্কিন এবং দেশটির প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ অবস্থার মধ্যে ওষুধের দোকানের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই সাড়ে ৬ হাজার দোকানের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে।
নতুন প্রকৃতির ভাইরাস প্রতিরোধে করোনার ভ্যাকসিনে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য। এজন্য এরইমধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। নতুন প্রকৃতির ভাইরাসটির বিষয়ে গবেষণার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ম্যাট হ্যানকক বলেন, আমরা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করছি। যদি ভ্যাকসিনে কোনো প্রকার পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তা করা হবে। আসলে আমরা চাচ্ছি, ভ্যাকসিনটিকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে যাতে সেটি অতিদ্রুত কাজ করে।
আগামী অক্টোবরের মধ্যেই সব নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিনের আনা হবে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অঙ্গেলা মার্কেল। এজন্য এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং গভর্নরদের সাথে বৈঠকে এসব তথ্য জানান মার্কেল।
নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ নিরাপদ এবং কার্যকর বলে আবারো দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, স্পুটনিক ফাইভ ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ কার্যকর।
সাধারণ ফিলিস্তিনিদের রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ফাইভ টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু করে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।