spot_img

রিভিউ না নেওয়ার দায় নিজের কাঁধে তুলে লিলেন সাদমান

অবশ্যই পরুন

দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংস উপহার দিয়েছেন সাদমান ইসলাম। ঝকঝকে ৫৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবে ইনিংসটি আরও বড় হতে পারতো।

আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের ভুলে ইনিংসটি শেষ হয়। স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে এলবিডব্লিউ হন বাঁহাতি ওপেনার। যদিও সাদমানের সুযোগ ছিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নেওয়ার। ৩টি রিভিউও ছিল। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তোলার পর মাঠ থেকে বেরিয়ে যান।

দিনের খেলা শেষে সাদমান জানালেন, রিভিউ না নেওয়ার দায় সম্পূর্ণ তার নিজের। অপরপ্রান্তে অভিজ্ঞ মুশফিক থাকলেও নিজের সিদ্ধান্তকেই গুরুত্ব দেন তিনি। সাদমান বলেন, ‘রিভিউ নেওয়া তো অবশ্যই উচিত ছিল। কিন্তু আমি যখন ব্যাটিং করি, আমার কাছে মনে হয়েছে যে ইন লাইন ছিল, উইকেট হিট করবে। এ জন্যই আমি রিভিউটা নেই নি।’

‘মুশফিক ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘‘কি হয়েছে?’’ আমি মুশফিক ভাইকে বলেছি যে, ‘‘আমার মনে হয় ইন লাইন, উইকেট হিট করবে।’’ তাই নেওয়া হয়নি। ড্রেসিংরুমে সবাই হতাশ ছিল। কিন্তু এটা পার্ট অব ম্যাচ। মেনে নিতে হবে।’

দিনের শুরু থেকেই সাদমান ছিলেন ধ্রুপদী। রোচের করা প্রথম বল কভার ড্রাইভে বাউন্ডারিতে পাঠান। বাউন্ডারিতে ১২৮ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। যা ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেও দ্বিতীয়। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে জোমেল ওয়ারিক্যানের বল সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন। আম্পায়ার আঙুল তুলে তাকে আউট দেন। চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সাদমান সুযোগটি নেননি। অথচ রিপ্লেতে দেখা যায়, বল মিডল স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল।

বল কোথায় পিচ করেছে, কোথায় যেতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা ব্যাটসম্যানের থাকা বাধ্যতামূলক। অবশ্য এ জন্য সিনিয়র মুশফিকের ভূমিকা নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন তোলা যায়। অপরপ্রান্তে থেকে তার আরও স্পষ্ট ধারণা থাকার কথা। কিন্তু ২৩৫ মিনিট ক্রিজে থাকা সাদমানকে রিভিউ নেওয়ার জন্য জোর করতে পারেননি ৭০ টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক। সাদমান দিন শেষে নিজের কাঁধে নেন সব দায়।

সর্বশেষ সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

অস্ট্রেলিয়ার সরকার পরিকল্পনা করেছে, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এক্স, টিকটক, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম-সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ