গত ৪ জানুয়ারি পারস্য উপসাগরীয় জলসীমায় সমুদ্র পরিবেশ বিষয়ক আইন ভঙ্গের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার আটকে দিয়েছিল ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। অবশেষে সেই তেল ট্যাংকারের নাবিকদের ইরান ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে গতকাল মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেহরানে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের বিচার বিভাগ এসব নাবিককে ইরান ত্যাগের অনুমতি দিয়েছে। বিষয়টিকে তিনি ইরানের পক্ষ থেকে একটি মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার তেল ট্যাংকারটির আইন লঙ্ঘনকারী পদক্ষেপের বিষয়টি এখনো ইরানের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং এটির ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা চলবে বলে তিনি জানান।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নৌবাহিনী গত ৪ জানুয়ারি পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত করার অভিযোগে ২০ ক্রু’সহ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি তেল ট্যাংকার আটক করে।
জাহাজটি আটকের কয়েক দিনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেহরান সফরে এসে উচ্চ পদস্থ ইরানি কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে পড়া কয়েক শ’ কোটি ডলার ফেরত দেয়ার আহ্বান জানায় ইরান। কিন্তু তখন বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কোনো সমাধান হয়নি।
ইরান বলেছে, ওই দেশের তেল বিক্রির প্রায় ৭০০ কোটি ডলার দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকে আটক রয়েছে। অন্যদিকে সিউল দাবি করছে, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কারণে এই অর্থ ইরানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
খাতিবজাদে মঙ্গলবার আরো বলেছেন, ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে টেলিফোনে আলাপ করে আরেকবার তার দেশের আটকে পড়া অর্থ ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় সিউলের পক্ষ থেকে ইরানের অর্থ ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হওয়া মাত্র তারা ইরানের অর্থ তেহরানকে ফেরত দেবেন।
সূত্র : পার্সটুডে