মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি বিবৃতি আটকে দিয়েছে চীন।
সোমবার সকালে রাজনৈতিক নেতা অং সান সু চিসহ কয়েক আইনপ্রণেতাকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর পর থেকে অভ্যুত্থান নেতারা একটি সুপ্রিম কাউন্সিল গঠন করেন, যারা মন্ত্রিসভার ওপরে বসবেন।
এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক জোরদার হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গুনে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গণপ্রতিবাদে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা অমঙ্গল দূর হবে বলে শ্লোগান দেন। রীতি অনুযায়ী অমঙ্গল দূর করতে হাঁড়ি-পাতিল বাজান।
৩০টি শহরের ৭০ হাসপাতাল ও চিকিৎসা বিভাগের কর্মীরা বুধবার কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নতুন গঠিত সিভিল ডিসঅবিডিয়েন্স আন্দোলনের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি ও রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনা মহামারির সময় মানুষ যখন দুর্ভোগে আছে, তখন ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
২৯ বছর বয়সী এক চিকিৎসক বলেন, আমরা চাই সেনাবাহিনী তাদের ব্যারাকে ফিরে যাক। যে কারণে চিকিৎসকেরা হাসপাতালে যাচ্ছি না। এই ধর্মঘট কতদিন চলবে, তার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। এটা কেবল পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। শিক্ষার্থী ও তরুণরাও সিভিল ডিসঅবিডিয়েন্স আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।
গত সোমবার ভোরে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চিসহ তাদের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দকে আটক করা হয়েছে।