সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বুধবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসকেরা সু চির মুক্তি দাবিতে আজ থেকে কাজ বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন। কিছু চিকিৎসাকর্মী নীরব প্রতিবাদ জানাতে বিশেষ প্রতীক ব্যবহার করছেন।
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সাগাইং অঞ্চলে মংগিওয়া হাসপাতালের অবেদনবিদ নায়িং হিতু অং পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এ ধরনের অভ্যুত্থান আর সহ্য করা যায় না। সেনাশাসকের অধীনে আমি কাজ করতে পারব না। তাই আমি পদত্যাগ করেছি। সেনাশাসক দেশের ও জনগণের কথা ভাবে না। পদত্যাগ করেই আমি তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছি।’
আরেক চিকিৎসক মিয়ো থেট অ রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা স্বৈরশাসক ও অনির্বাচিত সরকার মেনে নিতে পারি না। তারা যেকোনো সময় আমাদের আটক করতে পারে। আমরা সবাই হাসপাতালে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত সোমবার ভোরে আটকের পর থেকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি কোথায় আছেন, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এনএলডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে দাবি করে সোমবার নতুন সংসদ অধিবেশন স্থগিত করে সামরিক বাহিনী।
তবে গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন।
পনেরো বছরের গৃহ বন্দিত্বের অবসানের পর ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন অং সান সু চি, তার ১০ বছর কাটতে না কাটতেই আবারও বন্দি করা হল তাকে।