সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে নানান ধরণের সেলিব্রেটিদের ট্রোলিং হতে হয় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত কথা বা কাজের জন্য।
ট্রোলিং করার ফলে ব্যক্তিদের সামাজিক মান ক্ষুণ্ণ হয় যেমন, তেমন অনেক সময় পরিবার ও কাছের মানুষদেরও হাসির পাত্র হতে হয় অনেকের কাছে। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু ট্রোলড হওয়ায় তিনি সামাজিক মাধ্যমের সুফল-কুফল নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যমে।
তাপসী বলেন, ‘আমার পরিবারের কেউই চলচ্চিত্র জগতের মানুষ নন। তাই তাদের অসুবিধা হয় এ সব দেখতে। কিন্তু আমি জানি, তাদের অভ্যস্ত হতে হবে। না হলে কিছু করার নেই।’
তাপসী বিশ্বাস করেন- ট্রোলিং বন্ধ হবে না। সামাজিকমাধ্যম দূষিত হয়ে গেছে। দুঃখের বিষয়, সেটার সঙ্গেই মানিয়ে নিচ্ছেন সকলে। তাপসীও তাদেরই একজন। তিনি মনে করেন- ট্রোলিং থামানোর ক্ষমতা তার নেই।
একই সঙ্গে তাপসী এই ট্রোলিংয়ের ফলে একটি জিনিস উপলব্ধি করেছেন। ট্রোলিংয়ের শিকার তারাই হন, যাদের কথার দাম রয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘তার মানে আমার বক্তব্য ও মতামত এই সমাজে প্রভাব ফেলছে। মানুষ আমার কথা শুনছে। আর তাই ট্রোল করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হচ্ছে। আমার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে সে জন্যই।’
এটাই তাপসীর কাছে এক মাত্র পাওনা। কিন্তু তাও তিনি ট্রোলিংয়ের উত্তর দিতে চান না। তিনি মনে করেন, কুমন্তব্যের জবাব দিতে থাকলে তাঁর মর্যাদাহানি হবে। তাই নিজের মতপ্রকাশ করবেন। যে ভাবে জীবনটাকে যাপন করতে চান, সে ভাবেই করবেন। কে কী বলছে তার ভিত্তিতে নিজেকে বদলাবেন না।