নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সেতুতে না উঠে নৌপথে যেতে হলে নৌকাতেই উঠতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী অনেকটা হাস্যরস করে বলেন, উপায় নাই, নৌকায়ই চড়তে হবে। আমাদের নৌকা অনেক বড়। সবাইকে নেব। কিন্তু বেছে নেব। কেউ যেন নৌকা ফুটো করতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা একথা বলেন।
১২ কার্যদিবসের এই অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে। শেষ দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে, প্রশংসা তো করলই না, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না। তাহলে নদীটা পার হবে কিসে মাননীয় স্পিকার। যদি নৌপথে যেতে হয় তাহলে নৌকায় যেতে হবে। উপায় তো নাই। নৌকায় চড়তে হবে।
বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, একযুগ সরকার একটানা ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হয়েছে। বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একসময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাংলাদেশ চলত। একেকটা দলের একেকটা নীতি আছে। বিএনপি বলেছিল, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অনেক প্রশ্ন তারা করেন, সমালোচনা করেন। আয়নায় মনে হয় ভালো করে চেহারা দেখেন না। আয়না দেখেন নিশ্চয়ই সেটা মেকআপের জন্য। কিন্তু নিজেদের কাজগুলো দেখেন না।
সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশকে নিজ পায়ে দাঁড় করাতে চেয়েছে, সেটা পেরেছে। জনগণ ভোট দিয়েছে, তাদের মর্যাদা রক্ষা করা, সেবা করা সরকারের দায়িত্ব। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। অনেক সমালোচনা অনেক ব্যঙ্গ শুনেছি। উত্তরটা ভ্যাকসিন আসার পরে ভ্যাকসিন নিজেই দিয়ে দিয়েছে। যারা বলেছে তাদের মুখেই এই থাপরটা পড়েছে, আমার কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, গুজব রটনা করে মিথ্যা কথা বলে অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এটা বিএনপির জন্মগত চরিত্র। তাদের কথা তারা বলে যাবে, আমাদের কাজ আমরা করে জনগণের সেবা দিয়ে যাব।