কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও সরকার কঠোরভাবে করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কানাডায় সরকারের দিকনির্দেশনার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়াও শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ৪ ফ্রেব্রুয়ারি) থেকে এটি কার্যকর করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ফেডারেল পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা। অন্যদিকে বিদেশ থেকে কানাডায় আসা যাত্রীদের ৩ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন চালু হচ্ছে।
তবে কবে থেকে এ ব্যবস্থা শুরু হবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না হলেও তিনি বলেন, বিমানবন্দরে কোভিড টেস্ট এবং কোয়ারিন্টেনের বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে সেটি হেলথ কানাডা দেখভাল করছে। তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন।
ওমর আলঘাবরা বলেন, কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্তটি কবে থেকে কার্যকর হবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে আমার পক্ষে বলা কঠিন। কারণ এটি ঠিক করছে হেলথ কানাডা। তবে আমি যে কোনও মুহুর্তের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেব।
প্রসঙ্গত নতুন স্ট্রেইনের করোনার সংক্রমণ রোধ করতে ফেডারেল সরকার টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যাঙ্কুভার এবং ক্যালগেরি কেবল এই ৪ টি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামার জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করতে হবে এবং ফল না পাওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকতে জনপ্রতি ২ হাজার ডলারের বেশি ব্যয় হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ব্যয় যাত্রীদের নিজেদের বহন করতে হবে।
তিনি জানান, যাত্রীরা যে বিমানবন্দরে নামবে সেই বিমানবন্দর সংলগ্ন হোটেলেই অবস্থান করতে হবে। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলে তিনি নিজ গন্তব্যে চলে যেতে পারবেন। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট কোয়ারেন্টিন পরিকল্পনা থাকতে হবে। কোভিড টেস্টের ফল পজিটিভ হলে নিজ খরচে হোটেলেই থাকতে হবে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৯ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ হাজার ১৩৬ এবং সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ১১ হাজার ৭০৮ জন।