কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত “অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান” শিরোনামের প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রতিবেদন ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারের প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করে জামায়াতে ইসলামীর চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত কুখ্যাত ব্যক্তিদের দ্বারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জনপ্রতনিধির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচারণার ধারাবাহিক অংশ ছাড়া আর কিছুই না।
এতে আরও বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ হলো এই প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের নৃশংস গণহত্যার কথা ঐতিহাসিক তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়নি। যখন জামাতের অপরাধীচক্র লাখো বেসামরিক বাঙালিকে হত্যা এবং দুই লাখের বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছে। এই প্রতিবেদন আল জাজিরার সম্প্রচার ও তাদের ভাষ্যকার ডেভিড বার্গম্যানের রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রতিফলন। ১৯৭১ সালে নিহতের সংখ্যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করায় বার্গম্যান বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, প্রতিবেদনের অভিযোগের মূল সূত্র একজন অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধী, যাকে আল জাজিরা নিজেই ‘সাইকোপ্যাথ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এতে এই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকার এক বিন্দু প্রমাণও হাজির করা হয়নি। মানসিকভাবে অস্থির প্রকৃতির একজন মানুষের কথার ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেলের জন্য বড় ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নাই যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকজন দণ্ডিত পলাতক অপরাধী এবং নিন্দিত ব্যক্তিদের দ্বারা বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের অভ্যাসগতভাবে সাজানো হয়েছে। যা বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মিলিত হয়েছে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশেষ করে আল জাজিরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং লন্ডনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কাজ করা তাদের মিত্রদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এই বেপরোয়া ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচারণাকে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ সরকার।