মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারি হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর বাংলাদেশ নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সব সময় আলোচনা হয় সরকারের সঙ্গে, ব্যক্তি বিশেষের সঙ্গে নয়। মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও তাই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালেও মিয়ানমারে সামরিক শাসন ছিল। সেই আমলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়েছিল। মিয়ানমারে আবার সামরিক শাসক এলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা অগ্রাধিকার পাবে।’
এর আগে মিয়ানমারের জরুরি অবস্থা সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করে এবং প্রচার করে। বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থা বহাল থাকবে। কাছের ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে আমরা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চাই। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক কার্যকরী সম্পর্কের বিকাশে অবিচল থেকেছি এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি যে, এই প্রক্রিয়াগুলো অব্যাহত থাকবে।’
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ শীর্ষ নেতাদের আটক করে। সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।