দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া মাত্রই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি বলেও জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা বিল উত্থাপনের পর জনমত যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন।
প্রত্যেক বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তারই প্রতিফলন। তার আগে সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রামে করা হয়েছে। হেলথ ডাটাবেজ তৈরির বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রত্যেক ব্যক্তির যাতে হেলথ ডাটা করতে পারি, সে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ডাক্তার-নার্সের স্বল্পতা দূর করতে করোনাকালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার শুরুতে অনেকেই বলেছে অব্যবস্থাপনার কথা। আসলে বিশ্বের কোনও দেশেরই করোনার ব্যবস্থাপনা বিষয় জানা ছিল না। যখন জেনেছি, তখন ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের মতো এখনও করোনার টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি, আমরা টিকা দিতে শুরু করেছি।
আমরা সবচেয়ে কম দামে করোনার ভ্যাকসিন আনতে সক্ষম হয়েছি। ভারত সরকার যে দামে কিনেছে, আমরা সেই দামে কিনেছি, আমাদের সঙ্গে সেই দামেই চুক্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট দ্বিগুণ হয়ে যাবে। করোনার সময় একজন রোগীর পেছনে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আমরা করোনা কীভাবে প্রতিরোধ করেছি, তা দেশবাসী, বিশ্ববাসী দেখেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসা করে চিঠি দিয়েছে। এখন আমাদের করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৩ ভাগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সংক্রমণ শতকরা ৩ ভাগের নিচে নেমে গেলে করোনা ফেস আউট হয়ে যায়। আমরা সেই পর্যায়ে চলে এসেছি।