আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি তদারক করতে নাগরনো কারাবাখে তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার থেকে এই সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলের মেরজিলি গ্রামে নির্মিত এই সেন্টারটি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি তদারক করবে।
১০ নভেম্বর চুক্তির পর তুরস্ক ও রাশিয়া আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা আজারবাইজানের ভূমিতে শান্তি চুক্তি রক্ষা যৌথভাবে তদারক করার একটি স্মারকচুক্তি স্বাক্ষর করে।
যৌথ মনিটরিং সেন্টারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাকির হাসানভ, তুরস্কের প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী ইউনুস এমরে কারাওসমানওলু ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ এই মনিটরিং সেন্টারে ৬০ তুর্কি সৈন্য ও ৬০ রুশ সৈন্য মোতায়েন থাকবে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। ১৯৯৪ সালে আজারবাইজানের ভূমি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরনো কারাবাখ ও এর কাছাকাছি আরো সাতটি অঞ্চল আর্মেনিয়া দখল করে নিলে এই উত্তেজনা বাড়ে।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দুই দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল।
যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে দেশ দু’টি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে।
সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড