জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এন্থনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কয়েক দশক ধরে চলমান কাশ্মির সঙ্কট অস্ত্র দিয়ে সমাধান করা যাবে না।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেদশী দেশ- পাকিস্তান ও ভারতের প্রতি আহবান জানয়ে তিনি বলেছেন, তারা যেন একত্রে বসে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে । এ ব্যাপারে মহাসচিবের অফিস দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করতে সদাপ্রস্তুত।
নতুন বছরের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি বার্তা সংস্থা এপিপি র সাংবাদিক ইফতেখার আলির প্রশ্নের জবাবে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেছেন, কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সঙ্ঘাত এ অঞ্চলের জনগণ ও গোটা বিশ্বের জন্য ভয়ানক দুর্ভোগ বয়ে আনবে।
এদিকে, শুক্রবারও ভারতীয় নিরাপত্তবাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলোয়ান জেলায় তিনজন বিচ্ছিন্নতাকামী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিসে’র খবর অনুসারে, ভারত দখলকৃত কাশ্মিরে নিয়মিতভাবেই ঘেরাও-তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী । এসব তল্লাসি অভিযানের নামে জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল নাগাদ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলোয়ান জেলা, বারমুল্লা জেলা ও সোপিয়ান জেলায় এরকম অভিযান চালিয়ে কয়েকজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে, গতরাতে রাজৌরিতে একটি মন্দিরের পাশে বোমা বিস্ফোরণের পর ঘেরাও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
জাতিসঙ্ঘ গৃহীত প্রস্তাব মানার দাবি ডিপিএম-এর এদিকে, জম্মু-কাশ্মির ডেমোক্রাটিক পলিটিক্যাল মুভমেন্ট
(ডিপিএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতীয় সরকারি বাহিনী কাশ্মিরে মুক্তি আন্দোলন দমাতে গিয়ে নিরপরাধ কাশ্মিরি যুবকদের হত্যা করছে, নির্যাতন করছে এবং গুম করে দিচ্ছে।
ডিপিএম চেয়ারম্যান খাজা ফিরদউস তার বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ভারতীয় দখলদার বাহিনী প্রতিদিন নিয়মিত ঘেরাও-তল্লাসি অভিযান চালিয়ে যুবকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তবে, ফ্যাসজিস্ট মোদি সরকার তার বন্দুকের শক্তি দিয়ে কাশ্মিরিদের মুক্তির আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারবে না ।
এ সময় কারাগারে আটক হুররিয়াত নেতাদের কষ্ট এবং অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাদের মুক্তির দাবি করেন ডিপিএম চেয়ারম্যান ।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ করেন, তারা যেন ভারতের ওপর এ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করে যাতে কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা বন্ধ করা হয়। খাজা ফিরদউস দাবি করেছেন, কাশ্মির প্রশ্নে জাতিসঙ্ঘ গৃহীত প্রস্তাবনা অনুযায়ী এ অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করতে হবে।