spot_img

মার্কিন সৈন্যদের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত করবে পেন্টাগন

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে যাচ্ছে। মার্কিন সৈন্যদের বিদেশের মাটিতে আইন মেনে চলার মূল্যায়ন করতে এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরের সম্ভাব্য সহিংসতা কমাতে এই তদন্ত করা হবে বলে জানায় পেন্টাগন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ইনসপেক্টর জেনারেলের দফতর থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক স্মারকলিপিতে এই ঘোষণা করা হয়।

জানুয়ারি থেকে এই মূল্যায়নের পরিকল্পনা শুরুর কথা জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘এই মূল্যায়নের বিষয়বস্তু হলো নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা, যাতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (ইউএসসিইএনটিসিওএম) ও মার্কিন স্পেশাল অপারেশনস কমান্ড (ইউএসএসওসিওম) প্রতিরক্ষা বিভাগের আইনের সাথে সমন্বয় করে তাদের প্রকল্প উন্নয়ন ও প্রয়োগ করতে পারে এবং অভিযানের সময় সম্ভাব্য যুদ্ধ আইন লঙ্ঘনের হার কমে আসে।’

বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘আমরা আরো নিরীক্ষণ করবো ইউএসসিইএনটিসিওএম ও ইউএসএসওসিওম-এর যুদ্ধ আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রতিরক্ষা বিভাগের নীতি অনুসারে প্রতিবেদন দেয়া ও মূল্যায়ন করা হয় কিনা।’

স্মারকলিপি অনুসারে ইউএসসিইএনটিসিওএম, ইউএসএসওসিওম, ফ্লোরিডার টামপায় ম্যাকডিল এয়ার ফোর্স ঘাঁটি, আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন বাহিনী, কম্বাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স-অপারেশন ইনহগারেন্ট রিজোলভ ও জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশন কমান্ড এই মূল্যায়ন ও তদন্তের আওতাধীন থাকবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে অন্য সংস্থা ও স্থানকেও এই তদন্তের আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণায় জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষেকের পর পূর্বসুরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এই তদন্তের ঘোষণা এলো।

গত ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরাক ও আফগানিস্তানে বেসামরিক লোক হত্যায় অভিযুক্ত মার্কিন সৈন্যদের সাধারণ ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করেন।

বিশেষ করে ইরাকে বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগে ২০১৪ মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত এক মার্কিন প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির চার কর্মীকে ক্ষমার ঘোষণা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

ব্ল্যাকওয়াটার সিকুইরিটি কনসাল্টিং নামের এই কোম্পানির কর্মীরা ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন দূতাবাসের এক গাড়ি বহর নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বাগদাদের নিসুর স্কয়ারে গুলি করে ১৭ ইরাকি বেসামরিক লোককে হত্যা ও আরো ২০ জনকে আহত করে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আলাদা করে পাঁচটি তদন্ত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানায়, নিহত ১৭ জনের মদ্যে অন্তত ১৪ জনকে কোনো কারণ ছাড়াই গুলি করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে নয় ও ১১ বছরের দুই শিশু ছিল।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ