শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এখনো দর্শকদের চোখে ভাসে সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয় আর কানে বাজে তার মিষ্টি সংলাপ। দীঘি এখন আর শিশুশিল্পী নেই, দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লেখিয়েছেন। এরই মধ্যে দুটি সিনেমার কাজও শেষ করেছেন তিনি।
শুরুটা হয় শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে শামীম আহমেদ রনির পরিচালনায় ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে আরো পাঁচটি সিনেমার কথা ছিল দীঘির। তবে সেই সিনেমাগুলো থেকে বাদ পড়েছেন তিনি, সিনেমাপাড়ায় এমন খবরই চাউর হয়েছে। এ ব্যাপারে দীঘির সঙ্গে কথা হলে তিনি কড়া জবাব দিয়েছেন।
দীঘি বলেন, ‘শাপলা মিডিয়ার একটা সিনেমাতেই আমি চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম, শুটিংও করেছি। বাকি যে সিনেমাগুলোর কথা বলা হচ্ছে সেগুলো মৌখিকভাবে কথা হয়েছে। কাগজে-কলমে যার কোনো ভিত্তি নেই। চুক্তি না হলে সিনেমা থেকে বাদ পড়লাম কীভাবে, জানি না আমি! যাই হোক এ ব্যাপারে চিন্তা করার সময় পাচ্ছি না। এখন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের মধ্যে ডুবে আছি।’
দীঘি আরো জানান, ‘বঙ্গবন্ধু’-র কাজে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। পুরো মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন এবং অভিজ্ঞতার ঝুলিতে প্রতিনিয়তই নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে। এতো বড় ক্যানভাসের একটি সিনেমায় কাজ করাটা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও উল্লেখ করেন দীঘি। ২২শে জানুয়ারি মুম্বাই গিয়েছেন দীঘি। ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে চিত্রায়ণ চলবে তার। তারপর ফিরবেন দেশে, মার্চের শেষে আবার যাবেন মুম্বাই। এরপরই শেষ হবে বায়োপিকে দীঘির অংশে কাজ।
উল্লেখ্য গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে শুরু হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’ চলচ্চিত্রের প্রথম লটের শুটিং। সিনেমার কাজ চলবে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। ছবিতে শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের (রেনু) ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন দিঘী। ৪০ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ছবিটি বাংলাদেশ ও ভারতে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে।
শিশুশিল্পী হিসেবে ‘চাচ্চু’, ‘দাদী মা’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’র মতো হিট ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে দর্শকদের মন জয় করে ছোটকালেই তারকা বনে যান দীঘি। সে সময় টানা ৩৬টি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন।