বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় আবারও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স। খবর বিবিসি’র।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল রোববার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে সকল দেশ থেকে ফ্রান্সে আসা সব ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে থাকা ব্যক্তিদের করোনার নমুনা পরীক্ষার আরও জোর দেওয়া হবে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স নতুন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তে বিধিনিষেধ আরোপ ও দেশকে আবারও লকডাউনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে পুলিশ তাদের সন্ধ্যার কারফিউ আরও জোরদার করবে এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ প্রয়োগ কার্যকর করবে।’
দেশটির পরিবহন মন্ত্রী এক টুইট বার্তায় জানান, নতুন বিধিনিষেধ যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। তবে যুক্তরাজ্য থেকে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গণপরিবহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ফ্রান্সের চিকিৎসকরা। ফ্রেঞ্চ একাডেমি অব ডক্টরস এই ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ‘সাবওয়ে, বাস বা অন্যান্য গণপরিবহন যেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হয় না, সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। গত মে মাস থেকে মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হলেও ভ্রমণকারীরা প্রায়শই ফোনে কথা বলার সময় মাস্ক আলগা করে বা সরিয়ে ফেলেন। তাই কথা না বলার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।’
চলতি মাসে ফ্রান্সে সংক্রমণের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি শনাক্ত হচ্ছেন। বর্তমানে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ অব্যাহত রয়েছে। বন্ধ রয়েছে রেস্তোঁরা এবং পর্যটন এলাকাগুলো।