বল হাতে ইয়াসির শাহ ও নোমানের ঘূর্ণি। মাঝে শাহিন শাহ ও হাসান আলির পেস তোপ। ব্যাটিংয়ে ফাওয়াদ আলমের বীরত্বপূর্ণ ইনিংস। টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানরাও দেখালো ঝলক। সব মিলিয়ে করাচি টেস্টে দুরন্ত এক পাকিস্তানকেই দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে প্রবল প্রতাপশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক প্রকার উড়িয়ে প্রথম টেস্ট জিতেছে পাকিস্তান। এক দিন হাতে রেখে পাকিস্তান জিতেছে সাত উইকেটের ব্যবধানে।
চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের টার্গেট ছিল ৮৮ রান। তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাবর আজম শিবির। ওভার খেলতে হয়েছে ২২.৫টি। দুই টেস্ট সিরজে ১-০তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু দ্বিতীয় টেস্ট।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়েছিল ২২০ রানে। জবাবে ফাওয়াদ আলমের দারুণ সেঞ্চুরিতে ৩৭৮ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের স্পিনারদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানে। জয়ের জন্য পাকিস্তান টার্গেট পায় ৮৮ রানের। সে লক্ষ্যে হেসে-খেলে পৌঁছে যায় স্বাগতিক শিবির।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৮৭ রান। ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন মাহারাজ কুইন্টন ডি কক। শুক্রবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে এই দুজন টিকতে পারেননি। দলীয় ১৮৭ রানে হাসান আলির বলে বোল্ড মাহারাজ (২)। একটুর পর কুইন্টন ডি কককে (২) সাজঘরে পাঠান ইয়াসির শাহ।
শেষের দিকে বাভুমা ছাড়া আর কেউ ঝলক দেখাতে পারেনি। নোমান আলির স্পিনে ঘূর্ণিতে সবাই সাজঘরে ফেরেন দ্রুত। ৯৩ বলে ৪০ রান করেন বাভুমা। শেষের তিন উইকেটই নেন নোমান আলী। অভিষেকেই দারুণ চমক দেখান পাকিস্তানের নোমান আলি। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। দ্বিতীয়ঢ ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। ইয়াসির আলি দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
৮৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২৩ রানের মধ্যে দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। বিদায় নেন ইমরান বাট (১২) ও আবিদ আলি (১০)। তবে বাবর আজম ও আজহার আলীর দৃঢ়তায় জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে পাকিস্তান। ৮৬ রানের মাথায় আউট হন বাবর (৩০)। জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু আজহার আলি সারেন ফাওয়াদকে সাথে করে। ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন আজহার আলি। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ফাওয়াদ আলম অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।