ভারতের মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি অযোধ্যার ধান্নিপুরে তৈরি হতে যাওয়া নয়া মসজিদে নামাজ পড়া ‘হারাম’ বলে মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে ওয়াইসির ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।
ওয়াইসি বলেন, কেউ যদি অযোধ্যার ওই মসজিদে নামাজ পড়েন তবে তা ‘হারাম’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাঁর ওই মন্তব্যে মসজিদ ট্রাস্টের সম্পাদক এবং ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের আতাহার হুসেন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের বিদার এলাকায় ওয়াইসি ‘সংবিধান বাঁচাও ভারত বাঁচাও’ কর্মসূচী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, অযোধ্যার ধান্নিপুরে নির্মিত হতে যাওয়া মসজিদটি ইসলামের নীতিবিরোধী। এজন্য এটিকে মসজিদ বলা যায় না। মসজিদটি নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান এবং নামাজ পড়া উভয়ই ‘হারাম’ বলেও মন্তব্য করেন ওয়াইসি।
ওয়াইসি বলেন, যে মুনাফেকদের দল বাবরী মসজিদের পরিবর্তে পাঁচ একর জমিতে মসজিদ তৈরি করছে, সেটা মসজিদ নয় বরং তা ‘মসজিদ-ই-জিরার’। কেউ যেন সেখানে দান না করে। যদি আপনারা দান করতে চান, তবে বিদারে কোনও এতিমকে দান করুন।
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার বাবরী মসজিদ-রাম মন্দির মামলায় গত বছরের আগস্টে সুপ্রিম কোর্ট বাবরী মসজিদ যেখানে ছিল সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্ট আরও নির্দেশ দেয় সরকার অযোধ্যার কোথাও পাঁচ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেবে যেখানে মসজিদ তৈরি হবে। এরপরে উত্তর প্রদেশ সরকার অযোধ্যার ধান্নিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দিয়েছিল যার উপরে ওই মসজিদ নির্মাণের সূচনা হয়েছে।
এর আগে মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য ও অল ইন্ডিয়া বাবরী মসজিদ অ্যাকশন কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক জাফরইয়াব জিলানী বলেছিলেন, ওই প্রস্তাবিত মসজিদ ওয়াকফ আইনের বিরোধী। কারণ মসজিদ বা মসজিদের জমি কখনো অদলবদল করা যায় না। শরীয়া আইন অনুসারে তা করা অসম্ভব। এজন্যই মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড এর আগে ওয়াকফ বোর্ডকে জমি না নেয়ার অনুরোধ করেছিল।