ঘরের মাঠে সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের কাছে হারের পর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইনের অধিনায়কত্ব এবং উইকেটকিপিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও পেইনকেই অধিনায়ক হিসেবে বহাল রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
এছাড়া দলটির সীমিত ওভারের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চেরও সময়টা ভালো যাচ্ছে না। বিগ ব্যাশে তার দল মেলবোর্ন রেনেগেডস আসর শেষ করেছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে। এর ফলে ভাবতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী অধিনায়ক নিয়েও। ক্লার্কের মতে কামিন্স এখন তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বের জন্য প্রস্তুত। এজন্যই তাকে এ পদে দেখতে চাইছেন সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী এ অধিনায়ক।
ক্লার্কের মতে কামিন্স এখন তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বের জন্য প্রস্তুত। যদিও তা নির্ভর করছে সময়ের উপর। চলতি বছরের শেষ দিকে আসন্ন অ্যাশেজ ও টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই অধিনায়কত্বের বিষয়টি পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক, ‘দুই ফরম্যাটের জন্যই তাদেরকে সামনের সময়ের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার পর পরবর্তী সিরিজটিই অ্যাশেজ।
আমি মনে করি, পেইনকে যদি এই সিরিজে অধিনায়ক রাখা হয়, তাহলে অ্যাশেজেও তাকেই রাখতে হবে। নাহলে এখনই সময় নতুন অধিনায়ক নির্বাচনের। কারণ নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে হলে তাকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। একজন নতুন অধিনায়কের জন্য অ্যাশেজ খুব বড় সিরিজ।’
টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রেও কামিন্সকে অধিনায়ক করার প্রস্তাব করেছেন ক্লার্ক। এ ব্যাপারে সাবেক এ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘টি টোয়েন্টির ক্ষেত্রেও আমি একই কথা বলবো। যদি ফিঞ্চ এখন অধিনায়ক থাকেন, তবে তাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অধিনায়ক হিসেবে রাখতে হবে। না হলে এক্ষেত্রেও নতুন অধিনায়ক নিয়োগ দেয়া হোক, বিশ্বকাপের জন্য ভারতে যাওয়ার আগেই যেন সে মানিয়ে নেয়ার সুযোগ পান। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় সিদ্ধান্ত নেয়ার। নির্বাচকদের এখনই ঠিক করতে হবে আমরা পরিবর্তন চাচ্ছি কিনা।’